অসঙ্গতিপূর্ণ আবেদনে ঝুলে গেছে বিমানবন্দরে পিসিআর স্থাপন
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২৩:৫৫
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার পরেও সহসায় বিমানবন্দরে বসছে না প্রবাসী ও বিদেশগামীদের নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় র্যাপিড পিসিআর ল্যাব। এর ফলে বিমানের টিকেট কেটেও কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন না সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীরা। একইসঙ্গে চাকরি হারানোর আশঙ্কায় রয়েছেন দেশে ছুটি কাটাতে আসা লক্ষাধিক প্রবাসী।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মূলত ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ম না মেনেই নমুনা পরীক্ষার অনুমতি দেওয়ায় বিমানবন্দরে র্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপনের প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে যে আবেদনপত্র দেওয়া হয়েছে, তাতে থাকা অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্যের কারণে এখন পর্যন্ত ল্যাব স্থাপনের চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
এদিকে, নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রাথমিক অনুমোদন পাওয়ার পরে ডিএমএফআর ল্যাবের পক্ষ থেকে নমুনা পরীক্ষার খরচ আগের চেয়ে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বেশি চাওয়া হয়েছে। প্রথমে তারা একেকজনের র্যাপিড পিসিআর পরীক্ষার খরচ ১৭০০ টাকা উল্লেখ করলেও পরবর্তী আবেদনপত্রে এর পরিমাণ উল্লেখ করেছে ২৭৭০ টাকা। এটিও র্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপনের প্রক্রিয়াটিকে জটিল করে তুলেছে।
অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে আমলে না নিয়ে শুধুমাত্র ডিএমএফআর ল্যাবকেই প্রাথমিকভাবে অনুমতি দেওয়ার কথা জানানো হলেও প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ও সচিব এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তবে ল্যাব বিষয়ক কারিগরি কমিটির সদস্যরা ভাবছেন, একটি প্রতিষ্ঠানের পেছনে সময় নষ্ট না করে অন্যদেরও সুযোগ দেওয়া গেলে এতদিনে ল্যাব স্থাপনের প্রাথমিক কাজ শুরু করা সম্ভব হতো।
এর আগে, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের এক নির্দেশনায় বলা হয়, বিমানবন্দরে র্যাপিড পিসিআর টেস্টের ব্যবস্থা না থাকলে পাঁচটি দেশের নাগরিক আরব আমিরাতে প্রবেশ করতে পারবেন না। এই পাঁচ দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও। আমিরাত সরকারের এই নির্দেশনায় বিপাকে পড়েন দেশটি থেকে বাংলাদেশে ছুটি কাটাতে আসা প্রবাসীরা। পরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে র্যাপিড পিসিআর মেশিন স্থাপনের উদ্যোগ নেয় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। ১ সেপ্টেম্বরের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই মেশিন স্থাপনের জন্য দু’টি কমিটি করে দেওয়া হয়। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, দুয়েকদিনের মধ্যে জাতীয় পত্রিকায় ‘এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট’ আহ্বান করে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। যারা আবেদন করবেন, তাদের মধ্যে থেকে সক্ষমতা যাচাই করে কাউকে অনুমোদন দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-
- বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব চায় আমিরাত প্রবাসীরা
- বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর টেস্টের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- বিমানবন্দরে র্যাপিড পিসিআর মেশিন বসবে ‘বেসরকারিভাবে’
- বিমানবন্দরে পিসিআর পরীক্ষার দায়িত্ব একটি ল্যাবকে দেওয়ার পাঁয়তারা
৬ সেপ্টেম্বর প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, আমরা মোটামুটিভাবে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সরকারিভাবে পিসিআর ল্যাব করতে যেহেতু এখন সময় লাগবে, সেজন্য আমাদের কাছে যাদের যাদের প্রস্তাব আছে তাদের মধ্য থেকে সিলেকশন করে ল্যাব চালু করার একটা ব্যবস্থা করব। আমি আশা করছি যে চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে আমরা এই ল্যাব সীমিত পরিসরে হলেও চালু করতে পারব। এসময় ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে অনুমতি দেওয়ার কথাও জানান তিনি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পত্রিকায় ‘এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট’ আহ্বান না করেই ডিএমএফআর ল্যাবকে র্যাপিড পিসিআর মেশিন স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। অনুমোদন প্রক্রিয়ায় আরও কিছু অসঙ্গতিও ছিল। বিষয়টি নিয়ে সারাবাংলা ডটনেটে “বিমানবন্দরে র্যাপিড পিসিআর মেশিন বসবে ‘বেসরকারিভাবে’” এবং ‘বিমানবন্দরে পিসিআর পরীক্ষার দায়িত্ব একটি ল্যাবকে দেওয়ার পাঁয়তারা’ শিরোনামে দুইটি প্রতিবেদনও ছাপা হয়।
পরবর্তী সময়ে আরও অনুসন্ধানে জানা যায়, ডিএমএফআর মলিউকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকস লিমিটেডের পক্ষ থেকে যে আবেদনপত্রগুলো জমা দেওয়া হয়েছিল, তার প্রতিটিই ছিল অসঙ্গতিপূর্ণ। কারিগরি কমিটির বৈঠকেও প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিরা এসব অসঙ্গতির বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
ডিএমএফআরের আবেদনপত্রের যত অসঙ্গতি
ডিএমএফআর মলিউকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকসের পক্ষ থেকে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রথম চিঠি দেওয়া হয় গত ২৪ আগস্ট। ২৬ আগস্ট প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ডিএমএফআর ল্যাব কর্তৃপক্ষের। এ বৈঠকে তাদেরকে নমুনা পরীক্ষার প্রস্তাবনা জমা দিতে বলা হয়।
২৯ আগস্ট ডিএমএফআরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফাইজুর রহমানের সই করা প্রস্তাবনায় জানানো হয়, অনুমতি পেলে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই তারা ল্যাব স্থাপন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে নমুনা পরীক্ষার খরচ দিতে হবে ১৭০০ টাকা। আর নমুনা সংগ্রহের পরে তাদের ফলাফল জানাতে চার থেকে ছয় ঘণ্টা সময় লাগবে। একইসঙ্গে তাদের প্রতিদিন এক হাজার নমুনা পরীক্ষা করার সক্ষমতা আছে বলে জানানো হয় প্রস্তাবনায়।
একই প্রস্তাবনায় ডিএমএফআর জানায়, পিওর হেলথ-দুবাইয়ের সঙ্গে তাদের চুক্তি আছে। তবে সারাবাংলা ডটনেটের পক্ষ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পিওর হেলথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানিয়েছে, ডিএমএফআর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের কোনো চুক্তি নেই।
এরপর, গত ৬ সেপ্টেম্বর ল্যাব স্থাপন বিষয়ে গঠিত কারিগরি কমিটির সঙ্গে ডিএমএফআর ল্যাব কর্তৃপক্ষের একটি বৈঠক হয়। এদিন তারা জানায়, র্যাপিড পিসিআর মেশিনে একেকটি নমুনা পরীক্ষার জন্য তাদের দিতে হবে ২৭৭০ টাকা।
আগের চিঠিতে ল্যাব স্থাপনে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগার কথা জানালেও ৬ সেপ্টেম্বর তারা জানায়, এই ল্যাব স্থাপনে পাঁচ থেকে ছয় দিন সময় লাগবে। অন্যদিকে ২৯ আগস্টের সেই আবেদনপত্রে ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতার কথা জানানো হলেও ৬ সেপ্টেম্বর তারা জানায়, একই সময়ে তারা তিন হাজার নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে।
আবার ২৯ আগস্টের আবেদনপত্রে দুবাইয়ের ‘পিওর হেলথে’র সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি আছে বলে জানানো হলেও ৬ সেপ্টেম্বরের বৈঠকে তারা জানায়, ‘লাইফ ডিএক্স’ নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের সমঝোতা চুক্তি করা আছে।
সারাবাংলার পক্ষ থেকে পরে লাইফ ডিএক্স নামে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফুয়াদ সারাবাংলাকে বলেন, আমাদের সঙ্গে তেমন কোনো কিছু এখনো হয়নি। যদি হয়ে থাকে তবে আমরা অবশ্যই ইমেইলের মাধ্যমে জানাব। আমাদের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে আর কথা বলতে চাচ্ছি না।
এর মধ্যে, গত ৩১ আগস্ট ডিএমএফআর মলিউকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকস লিমিটেডের জন্য সুপারিশ করা হয় একটি ঢাকাস্থ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাসের প্যাডে। স্বাক্ষর ছাড়া সেই সুপারিশের চিঠির কোনো কপি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে দেওয়া হয়নি বলে নিশ্চিত হয়েছে সারাবাংলা ডটনেটের এই প্রতিবেদক।
যা বলছে কর্তৃপক্ষ
জানতে চাইলে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, র্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপনের বিষয়টি প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর কারিগরি দিক দেখবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে একটি কারিগরি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে, যেখানে আমি একজন সদস্য মাত্র। অনেকেই নমুনা পরীক্ষা কাজের জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে এবং তারা প্রস্তাবনা পাঠাচ্ছে। এক্ষেত্রে কারা কাজ করবে সেগুলো নির্ধারণ করবে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে আমাদের জায়গা দিতে হবে, সেটির জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। এর বাইরে এই প্রক্রিয়ায় আমাদের তেমন কোনো ভূমিকা নেই।
মফিদুর রহমান আরও বলেন, ডিএমএফআরকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে— এমন তথ্য দুই দিন আগে শুনেছি। কিন্তু এরপর কোনো আপডেট হয়েছে কি না, তা জানা নেই।
ডিএমএফআরের আবেদনপত্রে অসঙ্গতি বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, আমার কাছে এ বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কারিগরি বিষয়গুলো দেখা হচ্ছে। কোনো কিছু চূড়ান্ত হলে অবশ্যই জানানো হবে।
এ বিষয়ে জানতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া পাওয়া যায়নি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমেদের কাছ থেকেও। এছাড়া ৬ সেপ্টেম্বর ল্যাব স্থাপনের জন্য কারিগরি কমিটির বৈঠকে কোন বিবেচনায় ডিএমএফআরের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিল— এমন প্রশ্নের উত্তরও দিতে রাজি হননি কমিটির কোনো সদস্য।
তবে কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আগস্ট মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিককে বিমানবন্দরে র্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপনের অনুমতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তারা প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে। পরবর্তী সময়ে তারা কাজ পাওয়ার জন্য আবেদন করে। তবে ল্যাব কমিটির কারিগরি বৈঠকে তারা তাদের আবেদনের পক্ষে তেমন কোনো কাগজপত্র দিতে পারেনি। তাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হচ্ছে।
কারিগরি কমিটির ওই সদস্য আরও বলেন, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও র্যাপিড পিসিআর স্থাপনের অনুমতি চেয়ে আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এখন আমরা সেগুলো বিবেচনা করছি। কারণ আমাদের প্রবাসী ভাইদের জন্য ল্যাবটি স্থাপন করা জরুরি।
আবেদনপত্রের অসঙ্গতি নিয়ে কী বলছে ডিএমএফআর
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আবেদনপত্রে দেওয়া ডিএমএফআর মল্যিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফাইজুর রহমানের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেন সারাবাংলার এই প্রতিবেদক। তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে প্রথমে যে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছিল, সেটি ছিল খসড়া। পরবর্তী সময়ে আমরা আরও কাজ করি এ বিষয়ে। ল্যাব স্থাপন, জনবল, নমুনা সংগ্রহ বুথ থেকে শুরু করে নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু বিবেচনা করে আমরা পরে সংশোধিত মূল্য প্রস্তাব করি।
আবেদনে একবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘পিওর হেলথ’ ও আরেকবার ‘লাইফ ডিএক্স’ নামের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকের কথা উল্লেখ থাকলেও তাদের কোনোটিই এ ধরনের কোনো চুক্তি হয়নি বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ফাইজুর রহমান বলেন, তারা এমন কেন বলেছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।
সরকারিভাবে কোনো বিজ্ঞপ্তি বা ‘এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট’ প্রকাশ করা না হলেও বা র্যাপিড পিসিআর মেশিন স্থাপনের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো না হলেও কীভাবে প্রস্তাবনা জমা দিয়েছেন— এমন প্রশ্নেরও কোনো উত্তর দেননি ফাইজুর রহমান। আবেদনপত্রের অন্যান্য অসঙ্গতি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘এখন কোনো কিছু নিয়েই মন্তব্য করা সম্ভব না।’
সারাবাংলা/এসবি/টিআর
ডিএমএফআর ডিএমএফআর মলিউকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকস বিমানবন্দরে র্যাপিড পিসিআর র্যাপিড পিসিআর মেশিন