ইউটিউবে বই পড়ে শোনান হাফিজ-তাশফিয়া দম্পতি
২৩ অক্টোবর ২০২১ ১৯:২০
ঢাকা: বই তো পড়ার ব্যাপার; শোনারও নাকি! হ্যাঁ। সময়ের অভাবে যারা পড়ার সুযোগ পান না; ইউটিউবে বই শোনা হতে পারে তাদের জন্য অন্যরকম আনন্দের বিষয়। বই পড়ার অভ্যাস আছে অথচ এখন আর পড়া হয়ে উঠছে না। কাজের চাপে সময় বের করতে পারেন না। ধৈর্য থাকে না বা অনেক বই সবসময় হাতের কাছেও পাওয়া যায় না। এমন আরও কিছু বিষয় চিন্তা থেকেই হাফিজ মোল্লা ও তাশফিয়া তাসনিম তিশা দম্পতির এই উদ্যোগ।
গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি ইউটিউবে boi pora by Tashfiya & Hafiz’ (https://www.youtube.com/channel/UCn6uNzdpD6fhkttD0u3Yusw নামের একটি চ্যানেল খোলেন দুই পেশার এ দুইজন। কর্মক্ষেত্রে সময় দেবার পর বাসায় ফিরে যখনই সময় পান চমৎকার ও যে কোনো বিখ্যাত বই পড়ার চেষ্টা করেন তারা। যখন দুইজনের একসঙ্গে সময় হয়ে ওঠে না; তখন বই নিয়ে বসে পড়তে হয় একজনকেই।
বেছে বেছে বই পড়েন তারা। এরই মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শহীদুল জহির, সৈয়দ মুজতবা আলী, হুমায়ূন আহমেদ, আহমদ ছফা, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, রমেশচন্দ্র সেন, হাসান আজিজুল হকসহ বেশ কয়েকজন বিখ্যাত লেখকের কয়েকটি বই পড়েছেন দুই ইউটিউবার। পড়েছেন জীবনানন্দ দাশ, হেলাল হাফিজ, হুমায়ূন আহমেদসহ কয়েকজনের কবিতা। উপন্যাস, ছোট গল্প, কবিতা, ভ্রমণ, আত্মজীবনী, সাক্ষাৎকার, অনুবাদসহ নানা ধরনের বই পড়ে থাকেন তারা।
চ্যানেল খোলার পরপরই ‘বই পড়া’ নিয়ে বেশ সাড়া পাচ্ছেন তাশফিয়া ও হাফিজ। ইউটিউবে ভিডিওর নিচে কমেন্ট করে ভালোলাগার কথা জানান অনেকে। ফেসবুকে শেয়ার দেওয়ার পরও ভালোলাগার কথা জানান কেউ কেউ। অনেক শ্রোতা তাদের পছন্দের বই পড়তে অনুরোধও করেন। এরই মধ্যে অনুরোধ থেকে কয়েকটি বইও পড়েছেন এই দম্পতি।
তাশাফিয়া বলেন, ‘বইয়ের বিকল্প কিছুই হতে পারে না। আগে ছাপার বই পড়তাম। সময় বদলে গেছে। অনেকেই সময়ের অভাবে বই পড়তে পারেন না।তাদের কথা চিন্তা করে ও নিজেদের ভালোলাগার জায়গা থেকে আমাদের এই উদ্যোগ।’
হাফিজ বলেন, ‘আমাদের পরম যত্ন, আবেগ ও ভালোবাসার জায়গা থেকে চালু চ্যানেলটি করা। সাড়া পেয়েছি। প্রশংসা করছেন অনেকে। কেউ কেউ তো বলেন- তারা নাকি আমাদের এই পড়া শুনতে শুনতে ঘুমাতে যান। এসব জায়গাগুলো ভালোলাগার। শ্রোতাদের কেমন বই পছন্দ; কিংবা তাদের ভালো লাগা খারাপ লাগা সব মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করি যেসব বই অনেক বছর আগে ছাপা হয়ে গেছে বা লেখক জীবিত নেই সেসব বই পড়ার। সবসময় বিশ্বাস করি ছাপা বইয়ের বিকল্প কিছুই হতে পারে না। বই পড়ার চর্চা আমরা চালিয়ে যেতে চাই। মাধ্যম যেটিই হোক; মানুষ যেন বই পড়ার সঙ্গে থাকে এটিই আমাদের আশা।’
সারাবাংলা/একে