Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কার্বন নিঃসরণ কমাতে হালনাগাদ হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান

ঝর্ণা রায়, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩ নভেম্বর ২০২১ ১৫:৪৪

ঢাকা: গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে বিশ্বকে বাসযোগ্য করতে উন্নত দেশগুলো যে নীতি গ্রহণ করেছে, বাংলাদেশও সে পথে হাঁটতে যাচ্ছে। কার্বন নিঃসরণ কমাতে এরই মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে সরে আসতে কমিয়ে আনা হয়েছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন। অন্যদিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস- এলএনজি এবং নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। আর এসব বিষয় যুক্ত করে হালনাগাদ করা হচ্ছে বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনা পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান- পিএসএমপি।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের বর্তমান বিদ্যুতের চাহিদা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, পরিবেশ বিপর্যয় ও তেলের বাজার পরিস্থিতিও মাস্টারপ্ল্যানের বিবেচনায় থাকবে। আরও থাকবে এ খাতে আঞ্চলিক যে সম্ভাবনাগুলো রয়েছে সেগুলোও কাজে লাগানোর একটি রূপরেখা। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, এরই মধ্যে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যানের কাজ শুরু হয়েছে। নভেম্বরে জাইকা এটির চূড়ান্ত রূপ দেবে।

যা আছে বিদ্যমান মাস্টারপ্ল্যানে: পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান- পিএসএমপি। এটাকে বিদ্যুৎ খাতের দলিলও বলা চলে। দেশের বিদ্যুৎ খাতের ভবিষ্যত রূপরেখা রয়েছে এই মাস্টারপ্ল্যান বা মহাপরিকল্পনায়। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তারই আলোকে ২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয় পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান- পিএসএমপি।

সেখানে ভবিষ্যতে কয়লা থেকে ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এরমধ্যে ৩০ শতাংশ নিজস্ব কয়লা থেকে আর বাকি ২০ শতাংশ কয়লা আমদানির কথা বলা হয়েছিল ওই মাস্টারপ্ল্যানে। আর বাকি ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস, নবায়নযোগ্য এবং পারমাণবিক উৎস নির্ধারণ করা হয়। এরমধ্যে আমদানি করা এলএনজি গ্যাস থেকে ২৫ শতাংশ, তরল জ্বালানি থেকে ৫ শতাংশ এবং আমদানি ও নবায়নযোগ্য এবং পারমাণবিক থেকে আসবে ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ। কিন্তু বাস্তবায়নে গিয়ে কয়লা স্বল্পতা, গ্যাস কমে আসাসহ নানামুখি সমস্যায় তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। ফলে ২০১০ সালে যে উদ্দেশ্য মাস্টারপ্ল্যানে নির্ধারন করা হয় তা ২০১৬ সালে এসে হালানাগাদ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ২০১৬ সালে হালনাগাদ করা মাস্টারপ্ল্যানে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১৫ শতাংশ কমিয়ে ৩৫ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে নির্ধারণ করা হয়। এর ৩৪ শতাংশের সংস্থান ঠিক করা হয় আমদানির মাধ্যমে। অন্যদিকে গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়ে ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ৩৫ শতাংশ। এখানেও আমদানি নির্ভর এলএনজিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পারমানবিক উৎস মিলিয়ে এ উৎস থেকে নির্ধারন করা হয় ৩০ শতাংশ। কিন্তু এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গিয়েও সমস্যা দেখা দেয়।

বিজ্ঞাপন

যে কারণে উদ্দেশ্য সফল হয়নি: পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত দুই মাস্টারপ্লানে কখনো কয়লা, কখনো গ্যাস আবার নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ধারণা করা হয়েছিল দেশের প্রচুর পরিমাণে গ্যাস, কয়লা রয়েছে। সে ধারণা থেকেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এরমধ্যে কয়লা স্বল্পতা, প্রাকৃতিক গ্যাস কমে আসা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ পাওয়ার ক্ষেত্রে জমি সংকট দেখা দেওয়ায় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যে কারণে ২০১৬ সালের মহাপরিকল্পনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যে ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল তা মাত্র ৩ শতাংশ করা গেছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবচেয়ে সমস্যা জমি সংকট। যে কারণে নবায়নযোগ্য জ্বালানি গত পাঁচ বছরে সফলতার মুখ দেখেনি।

এদিকে সবশেষ হালনাগাদ করা পিএসএমপিতে ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

গত পাঁচ বছর পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বিদ্যুৎ উৎপাদনের স্বক্ষমতা বেড়েছে কিন্তু চাহিদা বাড়েনি।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এটা পরিকল্পনার একটা বড় গ্যাপ। কারন বর্তমান মহাপরিকল্পনায় নির্ধারিত সময় অনুযায়ী দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় উৎপাদন – চাহিদা, মিশ্র জ্বালানির ব্যবহার এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে গুরুত্ব কম দেওয়া হয়েছে। যে কারণে বিদ্যুতে ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

অন্যদিকে, দিন দিন জলবায়ু পরিবর্তনে বৈশ্বিক পট পাল্টে যেতে থাকে। ফলে সরকার বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে যে দিক নির্দেশনা ঠিক করেছিল তা থেকে সরে আসতে হয়েছে। যেমন ২০১০ সালে ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন কয়লা থেকে করার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণের কারণে উন্নত দেশগুলো কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে সরে এসেছে। প্রাকৃতিকভাবে বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে তাকেও কয়লার ব্যবহার কমিয়ে আনতে হচ্ছে। যে কারণে এরই মধ্যে সরকার ১০ টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল করেছে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, এখন বিগত ২০১০ এবং এর পরে ২০১৬ সালে তৈরি মাস্টারপ্ল্যানকে ধরেই ২০২১ সালে পিএসএমপিকে হালনাগাদ করা হচ্ছে।

যা থাকছে হালনাগাদ মাস্টারপ্ল্যানে : বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রথমে গ্যাস থেকে সরে এসে ঝুঁকে ছিল কয়লায়। কয়লা থেকে সরে এসে এখন গুরুত্ব পাচ্ছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস- এলএনজিতে। জোর দেওয়া হচ্ছে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতেও। অর্থাৎ দেশের বর্তমান বিদ্যুতের চাহিদা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, পরিবেশ বিপর্যয় ও তেলের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে হালনাগাদ হবে এবারের মাস্টারপ্ল্যান। নতুন পরিকল্পনায় কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন আরো কমিয়ে আনা হচ্ছে। সে লক্ষ্যে এরই মধ্যে ১০ টি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করা হয়েছে। এ সব স্থানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে বিদ্যুতের লক্ষমাত্রা ঠিক রাখা হচ্ছে বলে সূত্রে জানা গেছে। পাশাপাশি পাশবর্তী দেশগুলো থেকে বিদ্যুৎ কীভাবে পাওয়া যাবে তারও একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকবে মাস্টারপ্ল্যানে।

এগিয়েছে যতটুকু: বিদ্যুৎ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে বিগত সময়ের মাস্টারপ্ল্যানগুলোকে বিবেচনায় নিয়েই ২০২১ এর মাস্টারপ্ল্যান হালনাগাদ হবে। আর আগের মতোই বিদ্যুৎ খাতের জন্য মহাপরিকল্পনা তৈরি করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো- অপারেশন এজেন্সি- জাইকা।

প্রতিষ্ঠানটির ওয়েব সাইট সূত্রে জানা, বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণ কমানো যে উদ্যোগ রয়েছে। সে লক্ষ্য থাকবে হালনাগাদ হতে যাওয়া মহাপরিকল্পনায়। বিদ্যুতের পাশাপাশি এতে জ্বালানি খাতকেও যুক্ত করা হচ্ছে। এসব কাজ এগিয়ে নিতে এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সুত্র বলছে নভেম্বরের শুরুতেই মহাপরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসতে ঢাকা আসছে জাইকা।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বক্তব্য: এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের নীতি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেল এর মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন সারাবাংলাকে জানান, ২০১০ সালের মাস্টার প্ল্যানে আমরা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জোর দেওয়া হলো। এরমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্বজুড়ে বড় রকমের উদ্বেগ শুরু হলো। প্রাকৃতিক ভাবে বাংলাদেশও এ ঝুঁকিতে থাকায় বিশ্বের সঙ্গে সরকারকে থাকতে হয়। যে কারণে ২০১৬ সালে সংশোধন করে মাস্টার প্ল্যানে ৩৫% কয়লা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য রেখে জোর দেওয়া হয় এলএনজি আমদানিতে।

তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু কয়লা ভিত্তিক হাব তৈরি করা হয়। এরমধ্যে অন্যতম পায়রা, মাতারবাড়ি, মহেশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্র। যা এখন নির্মাণাধীন।’

তিনি বলেন, ‘পরিবেশগত দিক বিবেচনা করে আমরা সারা বিশ্বের মতো কয়লা থেকে সরে আসার চিন্তা করেছি। সেখানে বর্তমানে যে ৩৫% কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার কথা সেখান থেকে কমে আসবে। যে কারণে ৯ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল করা হয়েছে। এটি মাস্টারপ্ল্যানের বড় একটা পরিবর্তন। মোহাম্মদ হোসাইন আরও বলেন, ‘প্রথমত হালনাগাদ হতে যাওয়া মাস্টারপ্ল্যানে বড় পরিবর্তন কয়লা থেকে সরে আসা। দ্বিতীয়ত নবায়নযোগ্য উৎসকে গুরুত্ব দেওয়া। কিন্তু সমস্যাটা হলো আমাদের সোলার ছাড়া অন্য কোনো সোর্স নেই। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে হাইড্রোর হিউজ ব্যবহার থাকে। বায়ু, জিও থার্মাল ব্যবহার করা যায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে, বায়োমাস। এসব সোর্স আমাদের দেশে নেই। অন্যদিকে সোলারের ক্ষেত্রে জমির স্বল্পতা রয়েছে। কৃষির জন্য জমি দরকার। কারণ সরকার খাদ্যের দিকে জোর দিয়েছে। অন্যদিকে শিল্প কারখানা হচ্ছে। আমাদের জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে, সে জন্য সোলার ওভাবে প্রসার করতে পারি না। আমরা রিওনেবল কে প্রসারের জন্য কিছু ইনোভেটিভ আইডিয়া করেছি। সরকারি ভবনের ছাদ ব্যবহার। পাশাপাশি বাড়ি তৈরির সময় মালিকদের শর্ত দেয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ সংযোগের পাশপাশি সোলার প্যানেল লাগানো। তারপরে চরাঞ্চলে নদী তীর, রেল লাইনের পাশে এবং সেচ কাজ যেন নবায়নযোগ্য থেকে করা যায় সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’

ওই কর্মকর্তা বলেন, বিগত সময়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থেকে সরে এসে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে পিএসএমপি সংশোধন হচ্ছে। এবার নিজেদের স্বক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এ খাতে আঞ্চলিক সম্ভাবনা কীভাবে কাজে লাগানো যায় তারও একটি দিক নির্দেশনা থাকবে সংশোধিত মাস্টারপ্ল্যানে।

বিশেষজ্ঞ’র অভিমত: এবারের মাস্টারপ্ল্যানে বড় বড় পরিবর্তনগুলোর মধ্যে অন্যতম বিদ্যুতের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে জ্বালানিও। এ প্রসঙ্গে অ্যাসোশিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘রাষ্ট্রের আগে দর্শন ঠিক করতে হবে। যে দর্শন মেনে ভবিষ্যত পরিকল্পনা তৈরি হবে।’

তিনি বলেন, ‘যেমন যে দর্শন আমাদের সংবিধানে রয়েছে, তা স্পষ্টকীকরণ হবে পলিসিতে। পরিকল্পনা হবে তার আলোকে। এর আগে, আমরা যতবার দেখেছি ততবারই ধারণার ওপরে নির্ভর করে পলিসি করা হয়েছে। পরিকল্পনা যার যার ইচ্ছামত করলে তো হবে না আমরা কখনো আমদানি করছি কখনো বাদ দিচ্ছি। একসময় কয়লা ও গ্যাস আমদানির জন্য উদগ্রীব ছিলাম, এখন তা সেভাবেই পড়ে রইল। এটি রাষ্ট্রের চরিত্র হতে পারে না।’

এ সময় তিনি বারবার মহাপরিকল্পনা সংশোধন না তরে সর্বোচ্চ মেয়াদে তার মধ্যে স্বল্প, মধ্যম মেয়াদ ধরে গবেষণারভিত্তিতে পূর্ব অভিজ্ঞতা নিয়ে পরিকল্পনা করার পরামর্শ দেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ৫২ শতাংশ, ফার্নেস অয়েল থেকে ২৭ শতাংশ, ডিজেল থেকে ৬ শতাংশ, কয়লা থেকে ৮ শতাংশ, হাইড্রো ও সৌর থেকে আসে ১ শতাংশ। আর ৫ শতাংশ বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের স্বক্ষমতা ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট। যদিও এর বিপরীতে চাহিদা অর্ধেকের মতো। এদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের অপেক্ষায় রয়েছে বেশ কিছু কেন্দ্র। উৎপাদনে যাচ্ছে ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। একই উৎপাদন ক্ষমতার রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বেসরকারি পর্যায় থেকে আরও দুই হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনের অপেক্ষায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন সব মিলিয়ে বছর শেষে আরও প্রায় ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে।

সারাবাংলা/জেআর/একে

কার্বন নিঃসরণ জলবায়ু পরিবর্তন পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান পিএসএমপি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর