চমেকে মারামারি, আরেক মামলায় ১৬ আসামি

সংঘর্ষের পর চমেক ছাত্রবাসে পুলিশ

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে ১৬ জনকে। এ নিয়ে দুই দফায় মারামারির ঘটনায় মোট তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।

চমেকের শিক্ষানবীশ চিকিৎসক ইমন সিকদার বাদী হয়ে বুধবার (০৩ নভেম্বর) নগরীর চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। ইমন সিকদার শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে চমেক ক্যাম্পাসে পরিচিত।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস জাহান সারাবাংলাকে বলেন, ’১৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে ছাত্রদের ওপর হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন বাদী। এ নিয়ে আমাদের থানায় দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে মারামারির ঘটনায়। তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।’

মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

এর আগে, গত শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে নওফেল ও নাছিরের অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারি হয়। এতে দু’জন আহত হন। এ ঘটনায় নাছিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগ কর্মী চমেকের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে গত ৩১ অক্টোবর নগরীর চকবাজার থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

প্রধান ছাত্রাবাসে শুক্রবার রাতে মারামারির জের ধরে শনিবার ক্যাম্পাসে উপমন্ত্রীর অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী মাহাদি জে আকিবকে (২১) মারধর করেন নাছির অনুসারীরা। পরে দুই পক্ষে আবারও মারামারির ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত আকিব বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মাথায় অস্ত্রপোচার শেষে মাহাদি এখন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো বলে চিকিৎসকেরা জানান।

এ ঘটনার পর শনিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রাতই ছাত্রাবাস ছাড়েন শিক্ষার্থীরা।

মাহাদি জে আকিবকে মারধরের ঘটনায় চমেক শিক্ষার্থী তৌফিকুর রহমান বাদী হয়ে শনিবার (৩০ অক্টোবর) নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায়ও ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয় যাদের সবাই চমেকের ছাত্র। এদের মধ্যে রক্তিম দে (২১) ও এনামুল হোসেন সীমান্ত (২১) নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মাহাদি জে আকিবের ওপর হামলার প্রতিবাদে শনিবার চমেক ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেন উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা চমেকের অধ্যক্ষ ডা. শাহেনা আক্তারের বিরুদ্ধে হামলায় মদত দেওয়ার অভিযোগ করে তার পদত্যাগ দাবি করেন। এছাড়া বিএমএ নেতা ডা. মোহাম্মদ ফয়সল ইকবাল চৌধুরী হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন— এমন অভিযোগও করা হয়।

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

চমেকে মারামারি তৃতীয় মামলা