ভর্তিতে তদবির বন্ধে লটারিতেই সমাধান দেখছেন শিক্ষামন্ত্রী
১৫ ডিসেম্বর ২০২১ ২২:৪৮
ঢাকা: তদবির বন্ধ করতে সব বিদ্যালয়ে লটারি প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রম চালু করতে হবে বলে মত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, তদবির বন্ধ করতে হলে সব বিদ্যালয়ে লটারি প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। ইতোমধ্যেই সরকারি বিদ্যালয়গুলো লটারিতে শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে। এরপর ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় সারাদেশের সব বিদ্যালয়ে লটারি পদ্ধতি চালু করব।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ভর্তি লটারির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, লটারি প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে অনেক অনিয়মই বন্ধ হয়ে যাবে। ভর্তির জন্য কোনো তদবির চলবে না। আবার শিক্ষার্থীদের পুঁজি করে কেউ কোচিং ব্যবসাও চালু রাখতে পারবে না। গোটা ভর্তি প্রক্রিয়াটিতেই স্বচ্ছতা আসবে।’
তিনি বলেন, ‘এখন অনেকে অনুমতি নিয়ে কেন্দ্রীয় লটারির বাইরে গিয়ে নিজেরো লটারি করেছে। এটি আর করা যাবে না। সারাদেশে ধারাবাহিকভাবে লটারি প্রক্রিয়া চালু হবে। এবং সবার লটারি হবে কেন্দ্রীয়ভাবে। শিক্ষার্থী বা অভিভাবকেরা প্রতিষ্ঠান নিয়ে কোনো প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে না।’
এছাড়াও শিক্ষার্থী ভর্তিতে অতিরিক্ত ফি আদায়ে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
এদিন ২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করতে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে লটরির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে লটারির মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
উল্লেখ্য, উদ্বোধনের পর http://gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে লটারির ফলাফল দেখতে পারছে সবাই। এ বছর সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে সাড়ে পাঁচ লাখের কাছাকাছি আবেদন জমা পড়েছিল। ৪০৫টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য মোট ৮০ হাজার ৯১টি আসন শূন্য ছিল। ভর্তির জন্য এসব বিদ্যালয়ে গত ২৫ নভেম্বর থেকে অনলাইনে কার্যক্রম শুরু হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এই লটারি তত্ত্বাবধায়ন করেন। যাতে মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক কারিগরি সহায়তা দেয়। এই লটারির ফলও তাই ওয়েবসাইটের বাইরে টেলিটক মোবাইল নম্বর থেকে পাওয়া যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে ফল পেতে GSA<Space>RESULT<Space>USER ID লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে 16222 নম্বরে।
সারাবাংলা/টিএস/পিটিএম