Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১৫:৪৬

ঢাকা: বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে চলমান আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) হবিগঞ্জে দলের পূর্বঘোষিত সমাবেশে পুলিশি হামলার অভিযোগ তুলে এ ব্যাপারে দলীয় বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, হবিগঞ্জ যেহেতু বিএনপির একটা শক্তিশালী জায়গা এবং ওইখানের নেতারা বরাবরই প্রমাণ করেছেন, এখানে শক্তিশালী একটা সংগঠন আছে। সেজন্য এই জায়গাতে তারা আঘাত করেছে, পুলিশ অতর্কিতে বিনা উস্কানিতে গুলিবর্ষণ করেছে নির্বিচারে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই- এভাবে দমনপীড়ন চালিয়ে, হত্যা করে, গুম করে কখনোই জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবি এবং আমরা যে আন্দোলন করছি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য, তা বন্ধ করা যাবে না।’

হবিগঞ্জে বিএনপির সমাবেশের হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনার জন্য জেলার পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী, ওসি মাসুক আলী এবং নাজমুল হাসানকে দায়ী করে অবিলম্বে তাদের অপসারণ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি জানান, হবিগঞ্জের সমাবেশে পুলিশের নির্বিচারে লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণে বিএনপির তিনশ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। এরমধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশংকাজনক। একজনের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে।

ফখরুল বলেন, ২২ তারিখ আমরা সারাদেশে বিভাগীয় পর্যায়ে ৭টি জেলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে সমাবেশের কর্মসূচি ছিল। এর মধ্যে ৬টিতে মোটামোটি শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের কর্মসূচি করা গেছে। হবিগঞ্জে পুলিশ অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে। এসপি মুরাদ আলীর নির্দেশে ওসি নাজমুল হাসান, মাসুক আলীর নেতৃত্বে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে শটগানে প্রায় ১২শ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবে বেআইন।’

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, বুধবারের ঘটনায় হবিগঞ্জের জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক শফিকুর ইসলাম সেতু, জেলা ছাত্র দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজীব আহসান রিংগন, যুগ্ম সম্পাদক সাইদুর রহমান মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। সাইদুর রহমানের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আবদুল মতিন, শেখ রাসেল, গোলাম বাকী চৌধুরী রাজীব, মানিক মিয়া, তৌ্হদিুর রহমান অনি, বেলাল আহমেদ বাবু, আসিফুল ইসলাম ইমন, মুজাক্কির ইমন, গৌর চন্দ্র দাশ, মোশায়েদ আলমসহ অর্থ শতাধিক নেতাকর্মী। গ্রেফতার করা হয়েছে ছ্ত্রাদলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের।

কর্মসূচি:

হবিগঞ্জের গুলিবর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল সিলেট বিভাগের সকল উপজেলা এবং শনিবার সিলেটের সকল জেলায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল।

সংবাদ সম্মেলনে হবিগঞ্জের সমাবেশে অংশ নেওয়া দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবেদিন, মুক্তাদির চৌধুরী ও সহ-স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আখতার গুলিবর্ষনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বর্ণনা তুলে ধরেন। তারা বলেন, ‘হবিগঞ্জের সমাবেশের জনস্রোত ঠেকাতে স্থানীয় পুলিশ পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই- সমাবেশ বানচাল করা। যেভাবে পুলিশ সেখানে গুলিবর্ষণ করেছে এর ফলাফল আরও ভয়াবহ হতে পারত। এখানে লাশের সারি পড়তে পারত। আপনাদের মাধ্যমে আমরা এটি দেশবাসী ও বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে চাই।’

সংবাদ সম্মেলন অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

সারাবাংলা/এজেড/এসএসএ

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিজ্ঞাপন

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আজ
২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১০:৫০

আরো

সম্পর্কিত খবর