যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কী পদক্ষেপ, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৭:৪৪
ঢাকা: এক যুগ আগে শিক্ষাঙ্গণসহ দেশের সব সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে উচ্চ আদালতের দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী তিন মাসের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন আদালত।
রোববার (৯ জানুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন ও আইনজীবী শাহীনুজ্জামান।
গত বছরের ২১ অক্টোবর আইন ও সালিস কেন্দ্র এ রিট দায়ের করে।
রিটে জনপ্রশাসনসহ ৪০ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, বার কাউন্সিল ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে বিবাদী করা হয়েছে।
২০০৮ সালের ৭ আগস্ট বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী কর্মস্থল এবং শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধের জন্য দিকনির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ১৪ মে রায় দেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ রায়ে হাইকোর্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অভিযোগ গ্রহণের জন্য যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটিসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
কিন্তু এক যুগেও এ রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় হাইকোর্টে রিট করে আইন ও সালিস কেন্দ্র।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এসএসএ