বিমানবন্দর এলাকায় ‘অজ্ঞাত’ গাড়ির চাপায় আরোহীসহ পাঠাওচালক নিহত
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১০:৩৩
ঢাকা: রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় এক গাড়ির চাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী প্রাণ হারিয়েছেন। ভোরের দিকের এই দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলটিকে কোন গাড়ি চাপা দিয়েছে, সেটি জানা যায়নি।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিমানবন্দর এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আউট গেটের ওভারব্রিজের নিচে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাস্থলেই ওই দুই জন নিহত হন।
নিহতরা হলেন— রফিকুল ইসলাম সুমন (৪০) ও কাজল আক্তার (৩৫)। এর মধ্যে রফিকুল ইসলাম ছিলেন পাঠাও চালক। আর কাজল ছিলেন ওই মোটরসাইকেলের আরোহী।
বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুয়েল মিয়া জানান, ভোরে দিকে মোটরসাইকেলে করে তারা দু’জন যাওয়ার সময় একটি গাড়ি তাদের চাপা দেয়। এতে দুর্ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন। পরে খবর পেয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মোটরসাইকেলকে চাপা দেওয়া গাড়ি শনাক্ত করা যায়নি জানিয়ে এসআই বলেন, কোন গাড়ি তাদের চাপা দিয়েছে, সে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি। গাড়িটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এদিকে সুমনের ফুপাতো ভাই ফুয়াদ হাসান পল্লব জানান, সুমনের বাবার নাম নুরুল ইসলাম। তাদের বাড়ি পিরোজপুর স্বরূপকাঠি উপজেলার জগৎপুর গ্রামে। তিন মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারে থাকতেন সুমন। ছোটখাটো একটি ব্যবসার পাশাপাশি তিনি মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিং সেবা দিতেন। সকালে পুলিশের মাধ্যমেই তারা দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঢামেক মর্গে এসেছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গের সামনেই ছিলেন কাজলের মা হাসিনা বেগম। তিনি জানান, তাদের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার রানাপয়সা গ্রামে। পাঁচ বছর আহে স্বামী সেলিমের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে খিলগাঁও দক্ষিণ গোড়ান এলাকায় মায়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি।
হাসিনা বেগম বলেন, কাজল একটি বারে কাজ করে প্রায় ১০ বছর হলো। প্রতিদিনের মতোই গতকাল (বুধবার) বিকাল ৪টার দিকে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। অন্য দিন রাত ১২টার দিকে বাসায় ফিরে আসে। কাল রাতে আর বাসায় ফেরেনি। অনেক খোঁজখবর করেও কিছু জানতে পারিনি। সকালে পুলিশ ফোন করে জানিয়েছে, কাজল আর নেই।
ফাইল ছবি
সারাবাংলা/এসএসআর/টিআর