১৭ সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে নতুন করে অনুসন্ধানের নির্দেশ
১৩ মার্চ ২০২২ ১৬:৫৫
ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৭ সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে নতুন করে অনুসন্ধানের পর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনকে এই অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে।
রোববার (১৩ মার্চ) এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেয়।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফৌজিয়া আক্তার পপি। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
রায়ের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
তিনি বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৭ সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে নতুন করে অনুসন্ধানের পর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী আট মাসের মধ্যে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
রিটের পক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, আদালত রায়ে বলেছেন ১৭ জন সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে দুদক যে অনুসন্ধান করেছে তা সঠিক হয়নি। দুদকের পরিপত্র অনুযায়ী যেভাবে অনুসন্ধান করতে হয়, সেভাবে তারা করেনি। এ কারণে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন আগামী আট মাসের নতুন করে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান পরিচালনা করা, অনুসন্ধানে তাদের বিরুদ্ধে যদি কোনো তথ্য পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আট মাস পর এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলাটি ততদিন আদালতে চলমান থাকবে।
এর আগে গত বছরের ২৮ জানুয়ারি এ বিষয়ে রুল জারি করেছিল। ওই রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ আদেশ দেয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিবিএ (কালেকটিভ বার্গেনিং এজেন্ট) এর ১৭ নেতা হলেন- তখনকার সভাপতি মো. মসিকুর রহমান, সহ-সভাপতি আজহারুল ইমাম মজুমদার, আনোয়ার হোসেন, মো. ইউনুস খান, সাধারণ সম্পাদক মো. মনতাসার রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল চৌধুরি, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল কালাম, অর্থ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান, অফিস সম্পাদক মো. হারুনর রশিদ, প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল বারি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. ফিরোজুল ইসলাম, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. আবদুস সোবহান, নারী বিষয়ক সম্পাদক আসমা খানম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গোলাম কায়সার আহেমেদ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আবদুল জব্বার ও মো. আবদুল আজিজ।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আরও জানান, দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে ২০১৪ সালে এই ১৭ সিবিএ নেতাকে নোটিশ দেয় দুদক। কিন্তু দুদকের তলবে হাজির না হয়ে তারা অভিযোগ অস্বীকার করে। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রচার ও প্রকাশ হয়।
পরে এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে রিট দায়ের করে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।
তখন ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আদালত রুল জারি করেছিল। আদালত আজ ওই রুল যথাযথ ঘোষণা করে এ রায় দিয়েছেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এসএসএ