Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডিজিটাল শুমারিতে বিশ্বে একক কৃতিত্ব অর্জন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৬ জুন ২০২২ ২৩:৪৪

ঢাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল শুমারিতে বিশ্ব দরবারে একক কৃতিত্ব অর্জন করতে যাচ্ছে। আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন দেশব্যাপী ৬ষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (৬ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে ৩০০ বিধিতে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘একটি আধুনিক, উন্নত ও উচ্চ আয়ের বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবে রূপায়িত করতে তথ্য-উপাত্তভিত্তিক পরিকল্পিত পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণে সঠিক, সময়োপযোগী, নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান প্রণয়ন নিশ্চিতকরণে সংসদ সদস্যসহ সবস্তরের ব্যক্তিদের সার্বিক সহযোগিতায় এবারের জনশুমারি আমরা সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।’ এই জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘মহান জাতীয় সংসদে জানাতে চাই, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এই ক্ষণে উন্নয়ন অগ্রযাত্রার এ গুরুত্বপূর্ণ লগ্নে উন্নত, সমৃদ্ধ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এবারের জনশুমারি অতীতের যেকোনো শুমারি অপেক্ষা অধিকতর গুরুত্ব বহন করে।’

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা ডিজিটাল জনশুমারি পরিচালনা করতে যাচ্ছি। বৈশ্বিক পরিসরে আমরা পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল পদ্ধতিতে শুমারি পরিচালনা করার একক অনন্য কৃতিত্ব অর্জন করতে যাচ্ছি। যা আমাদের জন্য একটি গর্বের বিষয়।’

বিজ্ঞাপন

এম এ মান্নান বলেন, ‘ডিজিটাল জনশুমারির সফল বাস্তবায়নে ব্যাপক প্রচার কার্যক্রমের আওতায় বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ প্রাইভেট চ্যানেলগুলো প্রতিনিয়ত জিঙ্গেল, পাবলিক সার্ভিস অ্যানাউন্সমেন্ট, ডকুড্রামা প্রভৃতিতে প্রচার চালানো হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ বেতার, এফএম রেডিও ও কমিউনিটি রেডিওতেও শুমারির বিজ্ঞাপন প্রচারের পাশাপাশি পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার, স্টিকার, ব্রুশিউর প্রভৃতি বিতরণ, সব মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আলোকসজ্জা, সড়ক দ্বীপ সজ্জিতকরণ, প্রায় ৪ লাখ মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা প্রভৃতির মাধ্যমে সার্বক্ষণিক প্রচারণা চলছে। প্রচার কাজে বিএনসিসি, বাংলাদেশ স্কাউটস্ ও গার্লস্ গাইড অ্যাসোসিয়শনের সদস্যদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে (ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব চ্যানেল) ব্যাপক প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম

এম এ মান্নান পরিকল্পনামন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর