Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতি প্রকৌশলীদের আস্থা ও বিশ্বাস প্রসংশনীয়’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৬ জুলাই ২০২২ ২২:২৭

ঢাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেছেন, এদেশের প্রকৌশলীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন- তা সত্যিই প্রসংশনীয়।

শনিবার (১৬ জুলাই) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) সদর দফতরের উদ্যোগে ‘Padma Bridge: A Dream Turns into Reality’ শীর্ষক সেমিনার ও পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্ট প্যানেল অব এক্সপার্টস, প্রকল্প পরিচালক এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের প্রধান এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট, আইইবি অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার এম. শামীম জেড বসুনিয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইইবির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু)। সেমিনারের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন পদ্মা বহুমূখী সেতু প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার এম. ফিরোজ আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য, পানি সম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, আইইবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মুনাজ আহমেদ নূর, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম এবং পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মন্নান বলেন, ‘ছোট ছোট কাজগুলোই সামনের বৃহৎ কাজকে পথ দেখাবে। আগামীর বাংলাদেশ গঠনে সুদৃঢ় ভিত্তি প্রস্তুর তৈরিতে প্রকৌশলীরা ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি। প্রকৌশলীদের সুশৃঙ্খল ও পরিকল্পিত টিম ওয়ার্কের ফলে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

ইঞ্জিনিয়ার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘একটা শক্তিশালী টিম না হলে পদ্মা সেতু সম্ভব হতো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় খুব দ্রুতই ফাইল সম্পন্ন হতো। অনেকেই আশা ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু আমরা প্রধানমন্ত্রীর কারণে আশাবাদী হয়ে বাঙালি জাতির স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি।’

ড. আইনুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। আর তার কন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা পদ্মা সেতু পেয়েছি। এই পদ্মা সেতু সাহস জুগিয়েছে আগামীর জন্য।’

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের আবেগের প্রতীক। পদ্মা সেতুতে যুক্ত সকল প্রকৌশলীরা সৌভাগ্যবান। তারা ইতিহাসের সাক্ষীই নন, বরং নির্মাণকারী হিসেবে ছিলেন।’

অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বলেন, ‘টেন্ডার এবং পরিবেশ যাচাই করার ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন তা সত্যিই প্রসংশনীয়। বিশ্বব্যাংক যত দিন পদ্মাসেতুর সাথে ছিল ততদিন বাধা হয়েছিল।’

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘পদ্মাসেতুর নিচে কিছু চরে কচ্ছপের ডিম পাড়ার জন্য কম্পেনসেটরি গ্রাউন্ড তৈরি করা হয়েছে। ইলিশ রক্ষা করতে গিয়েও আমরা কাজের গতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। ল্যান্ড রিসেটেলমেন্ট বিষয়ে এখনো কোরো প্রশ্ন উঠেনি। এটাই অন্যতম অর্জন।’

অধ্যাপক ড. এম শামীম জেড বসুনিয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এই পদ্মা সেতু। যেটা করে উনি সফল হয়েছেন। বাইরে কত কথাই শোনা যায়। সব কথায় কান না দিয়ে আমাদের কথা শুনবেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইইবির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুল হুদা। সেমিনারের আহ্বায়ক ছিলেন আইইবির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইইবির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, প্রকৌশলী এস এম মনজুরুল হক মঞ্জু, সহকারী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী প্রতীক কুমার ঘোষ, প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম তুহিন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইইবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী রনক আহসান।

এর আগে, আইইবির ৬২৯তম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সদস্যরা সরাসরি এবং ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

আইইবি এম এ মান্নান পদ্মা সেতু পরিকল্পনামন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর