ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি: বাসের হেলপার রিমান্ডে
২৯ জুলাই ২০২২ ১৮:১৯
ঢাকা: বিকাশ পরিবহনের চলন্ত বাসে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির মামলায় চালকের পর তার সহকারী কাওসার আহম্মেদের দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) আসামিকে আদালতে হাজির করে লালবাগ থানার মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা আজিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আছিবুজ্জামান আছিব।
এদিন আসামির পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৯ জুলাই চালক মো. মাহবুবুর রহমানের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গতকাল বিকেলে সাভারের আশুলিয়া এলাকা থেকে কাওসার আহম্মেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযোগে বলা হয়, গত ২৪ জুলাই ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে ধানমন্ডি থেকে আজিমপুর যাওয়ার উদ্দেশে বিকাশ পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। বাসে হেডফোন দিয়ে গান শুনতে শুনতে একপর্যায়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। পরে রাত আনুমানিক ৯টা ১০ মিনিটের দিকে ভুক্তভোগী অনুভব করেন, তার শরীরে কে যেন হাত দিয়েছে। তাৎক্ষণিক তিনি তাকিয়ে দেখেন বাসে কোনো যাত্রী নেই এবং তার পাশের সিটে বাসের হেলপার বসা।
তখন ওই ছাত্রী বিপদ আঁচ করতে পেরে বাসের হেলপারকে তার পাশ থেকে ধাক্কা দিয়ে সরানোর চেষ্টা করেন। তখন ভুক্তভোগী সিট থেকে দাঁড়িয়ে নামার চেষ্টা করলে হেলপার তাকে পেছন থেকে এক হাতে মুখ চেপে ধরেন। ওই ছাত্রী নিজেকে বাঁচানোর জন্য সর্বশক্তি দিয়ে হেলপারের কাছ থেকে ছুটে চালককে চিৎকার করে বাস থামাতে বলেন। কিন্তু চালক তখন বাস না থামিয়ে দ্রুতগতিতে ইডেন কলেজের সামনে দিয়ে আজিমপুরের দিকে যেতে থাকেন। একপর্যায়ে আজিমপুর গার্লস স্কুলের কাছে বাসের গতি কিছুটা কমালে ওই ছাত্রী লাফ দিয়ে বাস থেকে নেমে আত্মরক্ষা করেন। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রী ঘটনাটি ফেসবুকে শেয়ার করে একটি পোস্ট দেন।
এরপর লালবাগ থানা পুলিশ প্রাথমিক অনুসন্ধান করে ভুক্তভোগীকে চিহ্নিত করে তথ্য সংগ্ৰহ করেন। তাৎক্ষণিক সিসি ফুটেজ পর্যালোচনা ও আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে বিকাশ পরিবহনের বাসটি শনাক্ত করা হয়। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিকাশ পরিবহনের বাসচালক মো. মাহবুবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।
সারাবাংলা/এআই/এমও