কড়াইল বস্তিতে ২ গ্রুপে সংঘর্ষ, দোকানি খুন
১৭ আগস্ট ২০২২ ২৩:৪৫
ঢাকা: রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আল আমিন (৩৪) নামে এক মুদি দোকানি খুন হয়েছে। এ ঘটনায় নারীসহ আহত হয়েছেন আরও সাত জন।
বুধবার (১৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে কড়াইল বস্তির নুরানী মসজিদ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আল আমিনকে সাড়ে ৯টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন- আমজাদ হোসেন (৩৫), কলেজ ছাত্র মাসুদ আলম (১৮), নুর আলম (৩০) ও জলি আক্তার (৪০), সুমি বেগম (৩৫), নাসির হোসেন (৪০), ডালিয়া বেগম (৪০)।
নিহত আলআমিনের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলায়। বাবার নাম মৃত মুসলিম উদ্দিন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. কায়েস মিয়া জানান, কড়াইল বস্তিতে মুদি দোকানের ব্যবসা ছিল আল আমিনের। এশার নামাজ পড়তে নূরানী মসজিদে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে কে বা কারা তাকেসহ আরও কয়েকজনকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। খবর পেয়ে আল আমিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
আহত মাসুদ আলম জানান, তিনি গুলশানের ন্যাশনাল কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষে পড়েন। থাকেন কড়াইলে। সপ্তাহখানেক আগে এলাকার ছোট ছেলেদের মধ্যে ঝগড়া হয়। সেই ঘটনা নিয়েই ওই ছেলেদের মধ্যে আরও কয়েক দফায় মারামারি হয়। মাসুদ বুধবার বিকেলে তাদের ডেকে মীমাংসা করে দেন। এরপর নুরানী মসজিদে এশার নামাজ পড়তে গেলে সেখানে এলাকারই যুবায়ের, নাসির, আল আমিন-২, রিপন, জুয়েল, ফয়েজ, কামালসহ ১০-১২ জন এসে প্রথমে তাকে আঘাত করতে থাকে। পরে অন্যদের উপরও আক্রমণ করে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া আল আমিনের মৃত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে, বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরে আজম মিয়া জানান, করাইল বস্তিতে কমিটি নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় এক জন মারা গেছেন। কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ এ ঘটনায় কাজ করছে।
সারাবাংলা/এসএসআর/পিটিএম