স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুন: চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:৫৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিমান ধরকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে চট্টগ্রাম নগরীতে প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর জামালখানে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে সড়কের একপাশ বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন হাজারখানেক ব্যবসায়ী। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী চট্টগ্রাম নগরীর সকল জুয়েলারি দোকান বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভে অংশ নেন।
গত ৬ সেপ্টেম্বর পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের লড়িহড়া গ্রামে স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিমান ধর (৪০) খুন হন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদি হয়ে পটিয়া থানায় অজ্ঞাত কয়েক জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, বিমান ধর উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের বণিকপাড়ার বাসিন্দা। নগরীর বাকলিয়ায় একটি জুয়েলারি দোকানের মালিক তিনি। রাতে দোকান বন্ধ করে প্রতিদিনের মতো মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি বাড়ি ফেরার পথে বিমানকে কুপিয়ে হত্যার শিকার হন। এসময় তার সাথে থাকা বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। মোটরসাইকেলটি রাস্তায় পড়ে ছিল।
পাঁচদিনেও এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারায় আধাবেলা দোকান বন্ধ রেখে রোববার সকালে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)। নগরীর প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের একপর্যায়ে তারা সড়কে বসে পড়েন। এতে ব্যস্ত সড়কটির একপাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আশপাশের স্কুল ছুটি হওয়ায় সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল। দুপুর ১টা পর্যন্ত তারা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এরপর তারা মিছিল নিয়ে কে সি দে রোডে তাদের কার্যালয়ে যান।
জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবীর সারাবাংলাকে বলেন, ‘জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন করছিল। অনেক লোক সমাগম হয়েছিল। এজন্য সড়কের একপাশে দুই ঘণ্টার মতো যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক প্রণব সাহা বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর আমরা প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত একজনকেও এখনও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। মামলার তদন্তভার থানা পুলিশের কাছ থেকে সিআইডি অথবা পিবিআইর কাছে পাঠানোর দাবি জানাচ্ছি। আমাদের আশা, তখন হত্যাকারীরা দ্রুত গ্রেফতার হবে।’
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) তারেকুর রহমান বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কয়েকজনকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে কিছু তথ্য পেয়েছি। এসব তথ্য নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। আশা করি হত্যার রহস্য দ্রুত উন্মোচন হবে। হত্যাকারীরাও গ্রেফতার হবে।’
সারাবাংলা/আরডি/এমও