মুক্তারপুরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত শাওন মারা গেছেন
২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:২১
ঢাকা: মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে পুলিশ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শহিদুল ইসলাম শাওন (২৬) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (২২সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া শাওনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘গতকাল মুন্সীগঞ্জ থেকে আহত অবস্থায় এনে শাওনকে হাপাতালে ভর্তি হয়। তার মাথায় আঘাত ছিল। আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।’
শাওনের ভাই মো. সোহানুর রহমান সোহান জানান, তাদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ সদরের মুরমা গ্রামে। বাবার নাম ছোয়াব আলী ভুইয়া। পেশায় তিনি মিশুক চালক ছিলেন। এবং মীরকাদিম পৌরসভার যুবদলের কর্মী ছিলেন। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে শাওন বড়। স্ত্রী সাদিয়া আক্তার ও এক বছরের ছেলে আবরারকে নিয়ে মুন্সীগঞ্জে থাকতেন শাওন।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর ব্রিজের পাশে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ওই তিনজন হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন (৪০), তারেক (২০) ও শাওন (২০)। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ও শাওনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এই তিনজনের মধ্যে তারেক প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আর জাহাঙ্গীরকে মিরপুর ডেন্টাল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পথচারী আলমগীর হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, বিকেলে মুক্তারপুর ব্রিজের পাশে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় জাহাঙ্গীরকে। তার মুখমণ্ডলে গুরুতর জখম হয়েছে। পরে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।
আহত তারেক জানান, তিনি ছাত্রদল কর্মী। বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশের এক সদস্য আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তার কপালে আঘাত করে।
আহত শাওনের বন্ধু নাহিদ খান বলেন, ‘শাওন মিশুক গাড়ির চালক। যাত্রী নিয়ে সমাবেশে গিয়েছিলেন। তখন আহত হন। শাওনের মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিল সে।’
সারাবাংলা/এসএসআর/পিটিএম