Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বারৈয়ারহাট-রামগড় সড়কে ব্যয় বাড়ছে ২৬১ কোটি টাকা

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট 
২০ অক্টোবর ২০২২ ০৮:৫০

ঢাকা: ব্যয় বাড়ছে বারৈয়ারহাট-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পে। এটির মূল ব্যয় ছিল ৮৪৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এখন ২৬১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়িয়ে মোট ১ হাজার ১০৭ কোটি ১২ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। ফলে ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে ৩০.৯৪ শতাংশ। একইসঙ্গে প্রকল্পের মেয়াদও ২ বছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

এজন্য ‘বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পটির প্রথম সংশোধন করতে হচ্ছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

বিজ্ঞাপন

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় রামগড় থেকে বারৈয়ারহাট সড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে। এজন্য একটি এমওইউ  (মেমোরানডাম অব আন্ডারস্ট্যান্টডিং) ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল স্বাক্ষরিত হয়। এই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ও রামগড় স্থলবন্দরের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য এ প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। এর আওতায় ৩৮ কিলোমিটার সড়কটি ৫ দশমিক ৫ মিটার হতে ৭.৩০ মিটার প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ করা হবে। এজন্য মোট ৮৪৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল।

এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২৬৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সহায়তা থেকে ৫৮১ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয় করার কথা ছিল। মূল প্রকল্পটি ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য ছিল। কিন্তু নানা কারণে প্রকল্পের বাস্তবায়ন পিছিয়ে যায়।

এর মধ্যে বর্তমানে ঠিকাদার ডব্লিউপি ১ থেকে ২ প্যাকেজের দাখিল করা দর অফিসিয়াল কস্ট ইস্টিমেটের তুলনায় ২৮.৭৬ শতাংশ বেশি হয়। এছাড়া নতুন অঙ্গ হিসেবে কাস্টমস ডিউটি (সিডি) অন্তর্ভূক্তি এবং পরামর্শক (স্থানীয়), জেনারেল সাইট ফ্যাসিলিটিজ, মাটির কাজ ও অন্যান্য অঙ্গসহ মোট ৩০.৯৪ শতাংশ ব্যয় বৃদ্ধির ফলে মোট ১ হাজার ১০৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে ২০২০ সালের ১ লা জুলাই হতে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনী প্রস্তাব পাঠানো হয় পরিকল্পনা কমিশনে।

বিজ্ঞাপন

সংশোধিত প্রকল্পের ওপর গত ৭ আগস্ট প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) প্রাক্কলিত ব্যয় চূড়ান্তভাবে ১ হাজার ১০৭ কোটি ১২ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

প্রকল্প সংশোধনের কারণ হিসাবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর থেকে বলা হয়, প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের পর ক্রয় প্রস্তাবে সর্বনিম্ন দাতার দাখিল করা অফিসিয়াল কস্ট এস্টিমেটের চেয়ে ২৮.৭৬ শতাংশ বেশি হয়েছে। এ কারণে ঠিকাদারের কোটেড রেট অনুযায়ী প্রাক্কলিত দর বৃদ্ধি করে ডিপিপি সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

আরও বলা হয়েছে, এলওসিতে ঋণ চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ম্যাচিং ফান্ড হিসেবে প্রকল্পের ভ্যাট বা আইটি সরকারকে দিতে হবে। ফলে ভ্যাট ও আইটি বাবদ বরাদ্দ সংশোধিত ডিপিপিতে সংযুক্ত করা প্রয়োজন দেখা দেয়। পাশাপাশি প্রকল্পের ঋণ চুক্তির শর্ত মোতাবেক কাস্টমস ডিউটি (সিডি) সরকারকে দিতে হবে। মূল অনুমোদিত ডিপিপিতে সিডির প্রাক্কলিত খরচ অন্তর্ভূক্ত না থাকায় নতুন অঙ্গ হিসেবে সিডি অন্তভুক্তির ফলে ডিপিপি সংশোধন করা প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এসব কারণে প্রকল্পটি সংশোধন করতে হচ্ছে।

প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) সত্যজিত কর্মকার সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রকল্পের আওতায় বারৈয়ারহাট থেকে রামগড় পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ও রামগড় স্থল বন্দরের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন হবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ উন্নত, নিরাপদ ও ব্যয় সাশ্রয়ী যোগাযোগ নিশ্চিত করা যাবে। এজন্য প্রকল্পটির প্রথম সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য একনেক উপস্থাপনের সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।’

প্রকল্পের আওতায় মূল কার্যক্রম হচ্ছে- ক্ষতিপূরণ ভূমি অধিগ্রহণ, কাস্টমস ডিউটি, সড়কবাঁধে মাটির কাজ এবং বিদ্যমান পেভমেন্ট প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ। এছাড়া বিদ্যমান পেভমেন্ট উচুঁকরণ, হার্ড শোল্ডার, সার্ফেসিং, ৯টি পিসি গার্ডার ব্রিজ এবং ২৩টি আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।

সারাবাংলা/জেজে/এমও

উন্নয়ন বারৈয়ারহাট-রামগড় সড়ক ব্যয় বাড়ছে

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর