যেভাবে ৩ রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দখলে চান্দেশ্বর ফরেস্ট অফিস
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৫৫
বাগেরহাট: হঠাৎ করেই বনরক্ষীদের সামনে পুকুরে নেমে মিষ্টি পানি পান করলো সুন্দরবনের একজোড়া বাঘ। পানি পান করে শান্ত ভঙ্গিতে বিশ্রাম। আবার বিশ্রাম শেষে ঘোরাফেরা। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আরও একটি বাঘ। সবকিছুই হচ্ছিল বনরক্ষীদের সামনে। ঘটনা পূর্ব-সুন্দরবনের সুপতি স্টেশনাধীন চান্দেশ্বর ফরেস্ট অফিস চত্বরে।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে মোবাইল ফোনে চান্দেশ্বর ফরেস্ট ক্যাম্প ইনর্চাজ মো. ফারুক হোসেন তার অভিজ্ঞতার কথা এ ভাবেই জানান। বলেন, ‘বাঘের উপস্থিতিতে বনরক্ষীরা কার্যত আতঙ্কিত ও অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। অবশ্য বাকি সময় বাঘের গতিবিধি খুব কাছ থেকে উপভোগ করেছেন তারা। যা সুন্দরবনে এই প্রথম।’
মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘গত শুক্রবার দুপুরে হঠাৎ করেই বনরক্ষিদের সামনে পুকুরে নেমে মিষ্টি পানি পান করলো এক জোড়া বাঘ। এরপর বাঘ দু’টি সামান্য পথ ঘুরে অবস্থান নিলো রান্না ঘরের পাশে। রাত ১২টা অবধি তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেনি। এতে নিজ বাসায় অবরুদ্ধ হয়ে রইলাম আমিসহ ৪ বনরক্ষী। দরজা খুলতেও ভয় পাচ্ছি। রান্না ঘরে প্রবেশ করতে না পারায় সেই দুপুর থেকে না খেয়ে থেকেছি।’
সুন্দরবনে অনেক বছর চাকরি করলেও তারা এমন পরিস্থিতির শিকার হননি কখনও। অফিস এলাকায় লোকজনের মধ্যে বাঘের এমন অবস্থান তাদের মধ্যে শঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছিল বলেও জানান তিনি।
তিনি জানান, প্রথমে বাঘ দু‘টিকে পুকুর পাড়ে দেখে ভয় পেয়ে যান তারা। বাঘ দুটি রাত ১২টার দিকেও কখনও পুকুর পাড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছিল, আবার কখনো রান্না ঘরের পাশে এসে বিশ্রাম নিচ্ছিল। এমন সময় তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় আরও একটি বাঘ।
পরে শনিবার বেলা ১১টার পরে বাঘ তিনটি সুন্দরবনের গহীনে চলে যায়। সুন্দরবনের মধ্যে বনবিভাগের অফিস থাকলেও সাধারণত বাঘ এ রকমের আচরণ করে না। তিনি বাঘ বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বলেন, ‘এই সময়টা বাঘের প্রজননকাল, তাই সঙ্গীসহ বাঘগুলো নিজের মতো করে চলাচল করে।’
সারাবাংলা/এমও