Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘কবর সংরক্ষণ নিরুৎসাহিত করতে ফি বাড়িয়েছে ডিএনসিসি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:১৪

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘ডিএনসিসির আওতাধীন গোরস্থানে কবর দেওয়ার ফি বাড়ানো হয়নি। কবর সংরক্ষণে নিরুৎসাহিত করতেই মূলত সংরক্ষণ ফি বাড়ানো হয়েছে। প্রতিনিয়ত বিপুল সংখ্যক আবেদন আসে কবর সংরক্ষণের জন্য। এভাবে সংরক্ষণ করা হলে কবর দেওয়ার জায়গা কমে যাবে। তাই কবর সংরক্ষণের জন্য ফি বাড়ানো হয়েছে। এতে সংরক্ষণের আবেদন অনেক কমবে এবং সাধারণ মানুষ কবর দেওয়ার সুযোগ পাবে।’

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় ডিএনসিসির উন্নয়নকৃত উত্তরা ৪নং সেক্টর কবরস্থান উদ্বোধনকালে ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ডিএনসিসির কবরস্থানে জনগণ সীমিত ফি’তে দাফনের সুযোগ পাচ্ছে। প্রতিটি মৃতদেহ দাফন বাবদ রেজিস্ট্রেশন ফি মাত্র ৫০০ টাকা এবং দুঃস্থ, অসহায় ও বিত্তহীন মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই ফি মাত্র ১০০ টাকা। এছাড়াও কেউ যদি ১০০ টাকাও পরিশোধ করতে অপারগ হয় তার জন্য বিনামূল্যে দাফনের সুযোগও রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কবরস্থানসহ অন্যান্য স্থাপনা মেইনটেন্সের জন্য সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি জনগণকে, কমিউনিটিকে এগিয়ে আসতে হবে। এলাকাবাসী ও সোসাইটির নেতৃত্বে সিটি করপোরেশনের স্থাপনা, ফুটপাত, মাঠ, পার্কগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। নির্মাণকাজের জন্য গাছ কাটা যাবে না। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করি গাছ না কেটে কাজ সম্পন্ন করতে। আমরা সাধারণত একটি গাছ কেটে ৩টি গাছ লাগানোর কথা বলি। কিন্তু এখন বলছি গাছ না কেটেই ৩টি গাছ লাগাবেন।’

মেয়র আতিক আরও বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যখন পুরো বিশ্ব বিপর্যস্ত, তখনো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সীমিত সম্পদের মধ্যে সর্বোচ্চ কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। ১৮টি নতুন ওয়ার্ডেও আমরা উন্নয়ন কাজ শুরু করেছি। নতুন এলাকায় সবকিছু মাস্টারপ্ল্যান করে ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছি। অনেক বড় প্রকল্প তাই একটু সময় লাগছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য সময় নিয়ে কাজটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’

এসময় ডিএনসিসির আওতাধীন কবরগুলোর ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করা হবে বলেও ঘোষণা দেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

উত্তরা ৪নং সেক্টর কবরস্থানটিতে যা যা রয়েছে:

কবরস্থানের চতুর্দিকে নিরাপত্তা বেষ্টনী, মার্বেল ফ্লোরসহ দৃষ্টি নন্দন দু’তলা বিশিষ্ট মসজিদ ভবন, কবরস্থান পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি আধুনিক অফিস ভবন, প্রয়োজনীয় ওজুখানা ও পর্যাপ্ত টয়লেটের ব্যবস্থা, অভ্যন্তরীণ ওয়ার্কওয়ে (৮০০ মিটার), পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক লাইটিং ব্যবস্থা, রোদ-বৃষ্টির জন্য কবরস্থানের অভ্যন্তরে ৫টি ওয়াক-ওয়ে, মৃত ব্যক্তির গোসলের সু-ব্যবস্থা, জানাজার জন্য খাটিয়া রাখার আলাদা প্লাটফর্ম, ১টি দৃষ্টি নন্দন প্রবেশ গেট, কবরস্থানের পূর্ব ও পশ্চিমে এলাকাবাসীর সুবিধার জন্য অতিরিক্ত ২টি পকেট গেট, কবরস্থানে চারিদিকে বাউন্ডারিফেন্সে আরবী হরফে সুদৃশ্য ক্যালিওগ্রাফি, কবরস্থানের অভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ও অন্যান্য গাছ (প্রায় ৭০০টি), কবরস্থানের বাহিরের চারিদিকে পায়ে হাঁটার পথসহ অন্যান্য সুবিধা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন— ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুলকার নায়ন, ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আফছার উদ্দিন খান, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হাছিনা বারী চৌধুরী, স্থপতি ইকবাল হাবিব, উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান এবং ডিএনসিসির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সারাবাংলা/এসবি/এনএস

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর