অর্থ আত্মসাৎ: জীবন বীমা’র কর্মকর্তার কারাদণ্ড
২১ মার্চ ২০২৩ ২১:২০
চট্টগ্রাম ব্যুরো : ১৮ বছর আগে গ্রাহকের জমা দেয়া প্রায় ১২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বীমা করপোরেশনের সাবেক এক কর্মকর্তাকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত তাকে আট লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
তবে রায় ঘোষণার পর বয়স বিবেচনায় আপিলের শর্তে দণ্ডিত আসামিকে জামিন দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদ। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত মো. শাহ আলম জীবন বীমা করপোরেশনের ডেভেলপমেন্ট অফিসার-১ হিসেবে সীতাকুণ্ড শাখায় কর্মরত ছিলেন। বাড়ি মীরসরাই উপজেলায়।
মামলার নথিপত্র পর্যালোচনায় জানা গেছে, জীবন বীমা করপোরেশনের সীতাকুণ্ড শাখার তহবিলে গ্রাহকের প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম ও নবায়ন প্রিমিয়াম খাতে জমা হওয়া অর্থ থেকে ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৬৫১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এরা হলেন- করপোরেশনের সীতাকুণ্ড শাখার ডেভেলপমেন্ট অফিসার-১ মো. শাহ আলম ও উচ্চমান সহকারী জয়নাল আবেদীন।
২০০৫ সালের ২১ জুন করপোরেশনের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের তৎকালীন ব্যবস্থাপক (বিপণন) পূর্ণেন্দু বিকাশ বড়ুয়া বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন। ওই মামলা তদন্ত করে সীতাকুণ্ড থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খুরশিদ আলম ওই বছরের ১৬ জুলাই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনে মামলা তদন্ত না হওয়ায় আট বছর পর অভিযোগপত্র প্রত্যাখান করেন বিচারিক আদালত। ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে মামলা তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশনা দেয়া হয়।
দুদকের উপ সহকারী পরিচালক খলিলুর রহমান সিকদার তদন্ত করে ১১ লাখ ৭২ হাজার ৬৬১ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়ে ২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি শাহ আলমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। জয়নাল আবেদীন মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের কৌঁসুলি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাবলু সারাবাংলাকে জানান, আসামি শাহ আলমের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় অভিযোগ গঠনের পর পাঁচজনের সাক্ষ্য নিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ের সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। বয়োবৃদ্ধ হওয়ায় তাকে আপিলের শর্তে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।
সারাবাংলা/আরডি/একে