চবি ভিসি’র মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বিপাকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক
২৮ মার্চ ২০২৩ ২৩:৫৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজ ক্ষুন্নের অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নোটিশে তার অবসরকালীন ভাতা স্থগিত করে তার বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানাতে সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
নোটিশে ইমেজ ক্ষুন্নের কারণ সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীণ আখতারের মেয়ে রিফাত মোস্তফা টিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোমবার (২৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদের সই করা চিঠি ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিচার্সের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক আসহাব উদ্দীন খালেদের কাছে পাঠানো হয়। তিনি চবি ল্যাবরেটরি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছিলেন।
শিক্ষক আসহাব উদ্দীন খালেদ উপাচার্যের মেয়েকে আড়াই লাখ টাকা ঋণ হিসেবে দিয়েছেন দাবি করে সম্প্রতি বক্তব্য দেন। তার অভিযোগ, উপাচার্যের মেয়ে সেই টাকা ফেরত না দিয়ে অস্বীকার করছেন। তিনি উপাচার্য এবং তার মেয়ের কাছে টাকা ফেরত চেয়ে চিঠি দেন। এর আগে তিনি শিক্ষক সমিতি বরাবর চিঠি দিয়ে একই অভিযোগ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রার দফতর থেকে পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, মিসেস রিফাত মোস্তফা টিনা প্রযত্নে প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বরাবর তিনি যে চিঠিগুলো দিয়েছেন তার বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এর দ্বারা উপাচার্য তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজ ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।
রেজিস্ট্রারের সই করা ওই চিঠিতে আগামী সাত দিনের মধ্যে কেন তার পেনশন বন্ধ, তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংবিধি ও দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা প্রমাণাদিসহ ব্যাখ্যা করার জন্য বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার ও রিফাত মোস্তফা টিনাকে একাধিকবার কল করলেও রিসিভ করেননি।
নোটিশ পেয়েছেন জানিয়ে আসহাব উদ্দীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘চিঠির বক্তব্য পুরোপুরি সত্য। মিসেস টিনা টাকার বিষয়টি অস্বীকার করবেন জানলে ডকুমেন্ট রাখতাম।’
সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম