আত্রাই নদীর তীরে মরিচ চাষে মিলেছে অভাবনীয় সাফল্য
৮ মে ২০২৩ ০৮:২২
নওগাঁ: উত্তর জনপদের শস্য ভাণ্ডারখ্যাত জেলা নওগাঁর আত্রাইয়ের ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীর তীরে মরিচ চাষে অভাবনীয় সাফল্য মিলেছে। নদীর দু’পাড়ের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে পলি ও বেলে-দোঁআশ মাটির উর্বর জমিতে এবার রেকর্ড পরিমানে মরিচের আবাদ হয়েছে। ফলে নদী পারের কৃষকের চোখে-মুখে স্বস্তির হাসি।
বর্তমানে ভালো ফলন ও বেশি দাম পেয়ে বেজায় খুশি এ উপজেলার মরিচ চাষিরা। গত মৌসুমে বন্যায় ক্ষতির মুখে পড়লেও এ ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে নব উদ্যমে আত্রাই উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মরিচ চাষিরা তাদের জমিতে মরিচ চাষ করছেন। ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীসহ অন্যান্য নদীর অববাহিকায় দেখা গেছে মরিচ চাষের দৃশ্য।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মরিচের দৃষ্টিনন্দন এ দৃশ্য। মরিচ ক্ষেতে কৃষকের ছোঁয়া আর সঠিক পরিচর্যায় গাছও হয়ে উঠেছে সুস্থ সবল। গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে মরিচের বাহার। অল্প খরচে বেশি লাভের আশায় মরিচ ক্ষেতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। দুপুর গড়াতেই মরিচ তুলে হাটে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন কৃষকেরা। অনেকে আবার মরিচ তুলে নিয়ে বাড়িতে কিংবা জমিতে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করেন। তবে জমিতে পাইকারি বিক্রি করলে লাভ কম হয় বলেও জানান চাষিরা।
চাষিদের অভিযোগ, আত্রাই উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হওয়ায় এসব এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন ভালো নেই। সময়মতো বাজারে পণ্য নিয়ে যাওয়া-আসা কঠিন হয়ে যায়। এছাড়া পরিবহন খরচও বেশি, তাই ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন মরিচ চাষিরা।
উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের সুলতান বলেন, ‘আত্রাই নদীর তীরে আমরা প্রতিবারের মতো এবারও মরিচ চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে।’
কালিকাপুর ইউনিয়নের শলিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কে এম মাহাবুব বলেন, ‘আত্রাই উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে আত্রাই নদী। এই নদীর দুই তীরে কৃষকেরা মরিচ চাষে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তাপস কুমার রায় বলেন, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২২ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মরিচ চাষে কীভাবে ফলন বৃদ্ধি করা যায় এবং চাষিরা বেশি লাভবান হন সেই দিকটা লক্ষ্য রেখেই আমরা কৃষি অধিদফতরের পক্ষ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছি।’
সারাবাংলা/এমও