চবি ফটকে তালা লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
১৮ মে ২০২৩ ১০:৩৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: খাবারের নিম্নমান, পরিবহনের অতিরিক্ত ভাড়া, আবাসন সমস্যা সমাধানসহ পাঁচ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। তাদের সঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশও যোগ দেয়।
বুধবার (১৭ মে) রাতে সাড়ে ৮টায় বিক্ষোভ শুরুর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সেখানে যান। তাদের আশ্বাসে পৌনে ১০টার দিকে বিক্ষোভকারীরা তালা খুলে দেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ছাত্রলীগের একাংশ ক্যাম্পাসে শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক ‘সিক্সটি নাইন গ্রুপ’ হিসেবে পরিচিত।
তাদের পাঁচ দফা দাবি হলো- খাবারের মান বৃদ্ধি ও দাম কমানো, পরিবহনের ভাড়া নিয়ন্ত্রণ, আবাসন সংকট দূর করা, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা ও পানি সংকটের সমাধান করা।
বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের সময়ে ছাত্রদের প্রক্টরের গদিতে আগুন জ্বালাও এক সাথে; গাড়ি ভাড়া বাড়লো কেন, প্রশাসন জবাব চাই; খাবারের দাম বাড়লো কেন, প্রশাসন জবাব চাই; খাবারের মান কমলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই; আবাসনের সংকট কেন, প্রশাসন জবাব চাই; স্লোগান দিতে শোনা যায়।
এদিকে মূল ফটক আটকে বিক্ষোভের ফলে প্রায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের যান চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়েন ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ইকবাল হোসেন টিপু সারাবাংলাকে বলেন, ‘খাবারের মূল্য ও ভাড়া বৃদ্ধি এবং প্রশাসন এর বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার প্রতিবাদে ছাত্ররা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছিলেন। আমরা তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে তাদের পাশে দাঁড়াই। পরে প্রক্টর স্যারেরা এলে ওনাদের সঙ্গে কথা হয়। ওনারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নুরুল আজিম শিকদার সারাবাংলাকে বলেন, ‘ছাত্ররা খাবারের মূল্য বৃদ্ধি, ভাড়া বৃদ্ধিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কারণে চবির মূল ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিল। খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। তারা তাদের অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে এসেছে।’
‘খাবারের মূল্য বৃদ্ধি, ভাড়া বৃদ্ধি ইত্যাদি নিয়ে আমরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। আমরা আমাদের মনিটরিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করবো। পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা যাতে দুর্ভোগ ছাড়া পরীক্ষা দিতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৬ মে) থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২০২৩ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
সারাবাংলা/এইচএফ/ইআ