৫ সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য বলা যৌক্তিক হবে না: সুজন
১৯ জুলাই ২০২৩ ২৩:৩১
ঢাকা: সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, গত ২৫ মে থেকে ২১ জুনের মধ্যে ৫টি সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই পাঁচটি সিটিতে মেয়র পদে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বলা কোনোভাবেই যৌক্তিক হবে না। বরং এগুলোকে সর্বোচ্চ ভোটাভুটির বহুলাংশে শান্তিপূর্ণ অনুশীলন বলাই সমীচীন।
বুধবার (১৯ জুলাই) অনলাইনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ২৫ মে থেকে ২১ জুনের মধ্যে ৫টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ীদের তথ্য বিশ্লেষণ, উপস্থাপন ও সার্বিক নির্বাচন মূল্যায়ন তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, সুজনের চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি প্রফেসর সিকান্দার খান, সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি সফি উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। সুজন’র পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচন হলো বিকল্প থেকে বেছে নেওয়ার ক্ষমতা, অধিকার ও সুযোগ। তাই যেখানে বিকল্প থাকে না, সেখানে নির্বাচনও হয় না। তবে বিকল্প হতে হবে যথার্থ।’
তিনি বলেন, ‘পাঁচ সিটির তথাকথিত নির্বাচনে মেয়র পদে, রূপক অর্থে ভোটারদের সামনে কোনো যথার্থ বিকল্প ছিল না। উপরন্তু বরিশালে সহিংসতার অভিযোগে ইসলামী আন্দোলনের সরে দাঁড়ানোর ফলে সিলেট ও রাজশাহী সিটির নির্বাচন অনেকটা অর্থহীন আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়।’
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সুজনের নির্বাহী সদস্য ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘চীন, রাশিয়া, ইরান কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলোতেও কিন্তু নির্বাচন হয়। তবে এই দেশগুলোতে যুগের পর যুগ ধরে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীই নির্বাচিত হচ্ছে। এই দেশগুলোর মতোই আমাদের এখানেও নির্বাচন নির্বাচন খেলা চলছে।’
তিনি বলেন, ‘মেয়রের পদ হলো সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহীর পদ। কিন্তু প্রচলিত আইনে তাদের ব্যবসা করতে বাধা নেই। এটি করতে হবে। না হলে ডিসি, এসপি, মন্ত্রী বেচারারা কী দোষ করেছে? বর্তমানে মেয়র হওয়া মানেই টাকা উপার্জনের পথ সুগম হওয়া।’
নির্বাচনে বিজয়ীদের তথ্য বিশ্লেষণ, উপস্থাপন ও সার্বিক নির্বাচন মূল্যায়ন তুলে ধরে সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী জনাব দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘সাধারণত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোট পড়ার হার বেশি থাকে। তবে এবারের নির্বাচনে তেমনটি দেখা যায়নি। নির্বাচনের আগে থেকে ধারণা করা হচ্ছিল যে, যেহেতু সবদলের অংশগ্রহণে এই নির্বাচন হচ্ছে না, সে কারণে ভোট পড়ার হার কম হতে পারে। হয়েছেও তাই।’
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম