Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘এখনো ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৭ আগস্ট ২০২৩ ২৩:১৯

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হলেও এখনো ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে না। আমাদের আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। এটি এখনো ডেভেলপিং পর্যায়ে আছে, পরিপূর্ণ হয়নি। আমরা খোঁজ-খবর রাখছি।

সোমবার (৭ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘যেসব দেশ ভ্যাকসিন তৈরি করে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। যখনই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোনো টিকার অনুমোদন দেবে, আমরা সেই টিকা অবশ্যই আনার চেষ্টা করব। আমরা এখনো সে মানের কোনো ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন পাইনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এখন পর্যন্ত কোনোটির অনুমোদন দেননি।’

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা বিষয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের তো একটা ব্যবস্থা করতেই হবে। আপনারা দেখেছেন করোনায় এর চেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল। হাসপাতালে অনেক বেশি রোগী ছিল, তারপরও আমরা ভালোভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। কাজেই ডেঙ্গু যদি আরও বাড়েও আমরা সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘আশা করি ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা খুব শিগগিরই কমে আসবে। এখন বর্ষা মৌসুম, বৃষ্টি বাড়ছে, পাশাপাশি আমরা নিয়মিত স্প্রে করছি। তবে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আমরা ইনশাল্লাহ নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।’

হাসপাতালে স্যালাইন সংকট বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে (আইপিএইচ) আগে স্যালাইন-ফ্লুইড তৈরি হতো। কিন্তু সেটি এখন বন্ধ আছে। কারণ, ফ্লুইড তৈরির স্থানটি ছিল খুবই জরাজীর্ণ। এই অবস্থায় যদি সেখানে ফ্লুইড তৈরি হয়, তাহলে উল্টো সেটা মানুষের জন্য ক্ষতিকারক হতো। আমরা সেই কারণেই তখন বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এখন নতুন মেশিনপত্র এনে অবকাঠামোগত কিছু মেরামত করেছ। আমরা সেটাকে আবারও পর্যবেক্ষণ করব এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর দেখবে। ওষুধ প্রশাসন যদি পরিদর্শন করে অ্যাপ্রুভাল দিয়ে দেয় তাহলে সেখানে প্রোডাকশন শুরু করে দেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘গোপালগঞ্জে আমাদের নতুন ইডিসিএল প্লান্টে ভ্যাকসিনের একটা ইউনিট আছে। হয়তো এ বছরের শেষ নাগাদ আমরা সেখানে উৎপাদন শুরু করতে পারব। যদি উৎপাদন শুরু হয়, তাহলে আর বাইরে থেকে স্যালাইন আনতে হবে না।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন যেহেতু হঠাৎ করে স্যালাইনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে, তাই বাধ্য হয়ে ওষুধ কোম্পানিগুলো থেকে নিচ্ছি। আমাদের অনেক বড় বড় ওষুধ কোম্পানি আছে, তারা আমাদের স্যালাইন সাপ্লাই দিচ্ছে, আমরাও তাদের কাছ থেকে নিতে থাকব। আমাদের যে প্ল্যান্ট আছে, এখানকার ক্যাপাসিটি খুবই কম। তারপরও আমরা ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদন পেয়ে গেলে সেখানে উৎপাদন শুরু করব।’

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম

টপ নিউজ ডেঙ্গু ভ্যাকসিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর