Tuesday 19 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এগিয়ে এসেছে হামুন, মেঘনার মোহনা দিয়ে অতিক্রম বুধবার ভোরে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৪৯

হামুনের প্রভাবে উত্তাল সাগর। তবু পর্যটকদের আনাগোনার কমতি নেই। মঙ্গলবার কক্সবাজার থেকে তোলা। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ও অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুন আরও উত্তরপূর্বে তথা বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে এসেছে। আবহাওয়া অধিদফতরের সবশেষ তথ্য বলছে, এটি পায়রা বন্দরের ২১৫ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে চলে এসেছে। এর উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাব্য সময়ও এগিয়ে এসেছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে অধিদফতর। তবে সমুদ্রবন্দরগুলোতে বিপদ সংকেতের কোনো পরিবর্তন আসেনি।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে আবহাওয়া অধিদফতর ১১ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, হামুন মঙ্গলবার দিবাগত শেষরাত তথা বুধবার (২৫ অক্টোবর) ভোর থেকে সকাল নাগাদ মেঘনা নদীর মোহনার কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অতিক্রম করতে পারে। এর আগে ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে ঘূর্ণিঝড়টি বুধবার সকাল থেকে দুপুর নাগাদ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আভাস দেওয়া হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

আবহাওয়া অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, দুপুর ১২টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় হামুন সাগরে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

আরও পড়ুন- হামুন’র কারণে দক্ষিণাঞ্চলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

একই সময়ে ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিম এবং সবচেয়ে কাছে পায়রা সমুদ্রবন্দরের ২১৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এ অবস্থা থেকে ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম-বরিশাল উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে।

বিজ্ঞাপন

এ অবস্থায় আগের মতোই পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর থাকবে ৫ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায়।

আগের মতোই বিজ্ঞপ্তিতে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ৩ থেকে ৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধ্বস হতে পারে।

সারাবাংলা/টিআর

আবহাওয়া অধিদফতর ঘূর্ণিঝড় ঘূর্ণিঝড় হামুন প্রবল ঘূর্ণিঝড়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর