Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইসি মানুষের মৌলিক অধিকার স্থগিত করতে পারে না: ব্যারিস্টার খোকন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৩১

ফাইল ছবি

ঢাকা: আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা ছাড়া সভা-সমাবেশ করা যাবে না, নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও সমালোচনা করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) কি দেশটাকে মগের মুল্লুক পেয়েছে। দেশে কি জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে। যেখানে জরুরি অবস্থা জারি হয়নি, সেখানে মানুষের মৌলিক অধিকার কীভাবে স্থগিত থাকবে। এ ক্ষমতা ইসির নেই। ইসির এই তুঘলকি আদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার খোকন বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচন করার যেমন অধিকার আছে, তেমনি নির্বাচন বর্জন করারও অধিকার রয়েছে। আমার মনে হয়, নির্বাচন কমিশনের যারা দায়িত্বে রয়েছেন তারা সংবিধান খুলেও দেখেন না। যদি খুলে দেখতেন তাহলে এ ধরনের তুঘলকি আদেশ জারি করতে পারতেন না। আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের প্যাকেজে যেসব দল অন্তর্ভুক্ত তাদের জন্য ইসির আদেশ প্রযোজ্য। আন্দোলনরত বিএনপি ও সমমনা দলের জন্য ইসির এ চিঠি প্রযোজ্য নয়।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, ‘এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা অংশগ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগই ঠিক করছে কারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হবে, কারা ডামি প্রার্থী হবে। এটা একটা বাকশাল মার্কা নির্বাচন।’

এর আগে, মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়া কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ না করার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবরে পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

চিঠিতে ইসি বলেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি ধার্য করা রয়েছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ব্যতীত নির্বাচনী কাজে বাধা হতে পারে বা ভোটাররা ভোটদানে নিরুৎসাহিত হতে পারে এমন কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ বা অন্য কোনো প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখা বাঞ্ছনীয়।

এ অবস্থায় আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ব্যতীত অন্য কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ বা অন্য সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।

সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ

মাহবুব উদ্দিন খোকন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর