Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আ.লীগের ইশতেহারে স্মার্ট বাংলাদেশ, দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স

নৃপেন রায়, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:৩৭

বুধবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার-২০২৪ ঘোষণা করেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। ছবি: পিএমও

ঢাকা: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণের অঙ্গীকারে রাষ্ট্র ও সমাজের বিভিন্ন স্তরে ঘুষ-দুর্নীতি উচ্ছেদ, অবৈধ আয় রোধ, ঋণ-কর-বিল খেলাপিসহ দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়াসহ অবৈধ অর্থ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কঠোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সম্ভাবনার হাতছানিকে দুর্বার গতিতে এগিয়ে নিয়ে দুরন্ত বাংলাদেশের সম্ভাবনায় বিশ্বাস রেখেছে দলটি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ স্লোগান নিয়ে প্রণয়ন করা হয়েছে এই ইশতেহার। টানা চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচনে জিততে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা, অর্থনীতি, সুশাসনসহ বিভিন্ন খাতে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতিসহ ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে ইশতেহারে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনি ইশতেহার-২০২৪ ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার পাশাপাশি নির্বাচনি ইশতেহার উপস্থাপন করেন।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য প্রদান করেন। এরপর ভিডিও ডকুমেন্টারি ‘জার্নি টু বাংলাদেশ’প্রদর্শন হয়। সবশেষে অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য এবং ইশতেহার উপস্থাপন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

আগামী ৭ জানুয়ারি টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের লক্ষ্যে এবারও নির্বাচরি ইশতেহার ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন দলটি। স্মার্ট বাংলাদেশে গড়ার ক্ষেত্রে চার মূল স্তম্ভ স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট প্রশাসন, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ গঠনের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের অঙ্গীকারে রাখা হয়েছে সাশ্রয়ী, টেকসই অন্তর্ভুক্তিমূলক, জ্ঞানভিত্তিক বুদ্ধিগত, উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি।

আরও পড়ুন- ১১ বিশেষ অগ্রাধিকারসহ যত অঙ্গীকার আ.লীগের [পূর্ণাঙ্গ ইশতেহার]

ইশতেহারে ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে আরেকটি জাতীয় নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে পুনরায় নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করে সরকার গঠনের সুযোগ কামনা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা, কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা, লাভজনক কৃষি, অবকাঠামো সুবিধা নিয়ে বিনিয়োগ বাড়িয়ে শিল্পের প্রসার ঘটানো, ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানো, নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য সুলভ স্বাস্থ্য সেবা, সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ রোধ করা এবং সব স্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো— এই বিষয়গুলোকে এবার ইশতেহারে বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘দিন বদলের সনদ’ নিয়ে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লীগ। সেই ইশতেহারে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি ছিল। ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারের স্লোগান ছিল ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’। অন্যান্য প্রতিশ্রুতির সঙ্গে অগ্রাধিকার হিসেবে ১০টি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছিল। এরপর ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ স্লোগানে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করে। ওই ইশতেহারে ২০৪১ সালে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং ২১০০ সালে নিরাপদ বদ্বীপ পরিকল্পনার রূপরেখা ছিল।

এবার ইশতেহার উপস্থাপনের সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, দ্বাদশ নির্বাচন সামনে রেখে আমরা আবারও আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। অতীতের ধারাবাহিকতায় এবারও আমরা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে একটি বাস্তবায়নযোগ্য নির্বাচনি ইশতেহার তৈরি করেছি। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮-এর নির্বাচনি ইশতেহারে ঘোষিত দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনাগুলোর ধারাবাহিকতা দ্বাদশ নির্বাচনি ইশতেহারেও রক্ষিত হয়েছে।

জাতীয় নির্বাচনের সন্নিকটে দাঁড়িয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য প্রযুক্তি সক্ষমতা একান্ত প্রয়োজন। এ জন্য আমরা ‘স্মার্ট নাগরিক’, ‘স্মার্ট সরকার’, ‘স্মার্ট অর্থনীতি’ ও ‘স্মার্ট সমাজ’— এই চারটি স্তম্ভের সমন্বয়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষণা দেই। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজ করছি। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত স্মার্ট সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ।

নির্বাচনি ইশতেহারে এবার আওয়ামী লীগ বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে ১১টি বিষয়ে। ছবি: পিএমও

এবারের ঘোষিত ইশতেহারে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করলে দেশের রূপান্তর ও উন্নয়নে তরুণ ও যুবসমাজকে সম্পৃক্ত করার অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। কর্মক্ষম, যোগ্য তরুণ ও যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণসহ তাদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য সহায়তা প্রদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করা হয়েছে।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ তথ্যপ্রবাহ প্রসঙ্গেও অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। জনকল্যাণমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। মেধাভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দক্ষ, উদ্যোগী, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর, দুর্নীতিমুক্ত দেশপ্রেমিক ও জনকল্যাণমুখী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চলমান রাখার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। পাশাপাশি জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত, মানবিক, স্মার্ট ও আধুনিক হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার আছে এই ইশতেহারে।

বিশেষ করে এবারের ইশতেহারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে ইশতেহারে রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন, নাগরিক সনদ রচনা, তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও অভিযোগের প্রতিকার ব্যবস্থা চালু করার কথা তুলে ধরা হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিও অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করা হয়েছে।

ইশতেহারে বলা হয়েছে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্নীতি মোকাবিলায় কার্যকর পন্থা ও উপায় নির্বাচন করে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন, ঘুষ, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বজনপ্রীতি, পেশীশক্তির দৌরাত্ম্য ও দুর্বৃত্তায়ন নির্মূলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ চলমান থাকবে। প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে ভূমি প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, আদালত, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবাসহ সব ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণ করা হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব গড়ে তোলার জন্য পাঠ্যক্রমে দুর্নীতির কুফল ও দুর্নীতি রোধে করণীয় বিষয়ে অধ্যায় সংযোজন করা হবে।

আরও পড়ুন-

অর্থনীতির ক্ষেত্রে গত দেড় দশকে বাংলাদেশ একটি গতিশীল ও দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বিশ্বের দরবারে মর্যাদা লাভ করেছে বলে তুলে ধরা হয়েছে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে। বলা হয়েছে, পুনরায় নির্বাচিত হলে সরকার লক্ষ্য ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় নীতি-কৌশল গ্রহণ করবে। বাজারমূল্য ও আয়ের মধ্যে সঙ্গতি প্রতিষ্ঠা করা হবে। মুদ্রা সরবরাহ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপায়-উপকরণ হবে নীতি সুদহার ব্যবহার। কর্মপোযোগী প্রশিক্ষিত যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য ঋণ সরবরাহ সম্প্রসারণ করা হবে। আমদানি ও রফতানি বাণিজ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা হবে, যা বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহে অনিশ্চয়তা লাঘব করারও প্রতিশ্রুতি রয়েছে।

খেলাপি ঋণ আদায়ে কঠোর আইন প্রয়োগসহ আর্থিকখাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও অপরাধ দমন, পুঁজি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ইশতেহারে। চরম দারিদ্র্যের অবসান, দারিদ্র্যের হার ১১ শতাংশে এবং ২০৪১ সাল নাগাদ দারিদ্র্যের হার ৩ শতাংশে নামিয়ে আনার অঙ্গীকারও রয়েছে।

শিক্ষা খাত নিয়ে ইশতেহারে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ ও মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতের অঙ্গীকারে সব নাগরিকের জন্য একই রকম স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সর্বজনীন স্বাস্থ্যব্যবস্থা চালু করা এবং আন্তর্জাতিক মানের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপনের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। রূপকল্প-২০২১-এর ধারাবাহিকতায় রূপকল্প-২০৪১-এর কর্মসূচিতে মৌলিক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেবা উন্নত ও সম্প্রসারিত করার অঙ্গীকার আছে।

ইশতেহারে বলা হয়েছে, নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা, অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নারী উন্নয়নে সহায়ক পরিবেশ তৈরির কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। গ্রামীণ নারীদের সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও শ্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ বাড়ানোর অঙ্গীকারও আছে।

আরও পড়ুন-

যোগাযোগ খাতে উন্নয়নের ধারা গতিশীল করার লক্ষ্যে সুনির্মিত ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলার কাজ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ২০৪১ সাল নাগাদ ১২টি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করার অঙ্গীকার করেছে দলটি। পর্যায়ক্রমে দেশের সব মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকারও করেছে। এমআরটি-১ (বিমানবন্দর-কমলাপুর ও নতুন বাজার-পূর্বাচল ডিপো), এমআরটি-২ (গাবতলী-কাঁচপুর সেতু), এমআরটি-৪ (কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ) ও এমআরটি-৫ (সাভার-ভাটারা) নির্মাণ ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়ার অঙ্গীকারও রয়েছে ইশতেহারে। পাশাপাশি স্মার্ট পরিবহন যুগের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে এবং এক্সপ্রেস রেলওয়ে নির্মাণ সক্রিয় বিবেচনা করার অঙ্গীকারও করা হয়েছে।

ইশতেহার উপস্থানের সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। সম্ভাবনার হাতছানি দেওয়া দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা দুরন্ত বাংলাদেশ। ছোটখাট অভিঘাত আজ আমাদের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।
দেশবাসীর কাছে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করে তিনি বলেন, গত ১৫ বছরের সরকার পরিচালনার পথ-পরিক্রমায় যা কিছু ভুলত্রুটি, তার দায়ভার আমাদের। সাফল্যের কৃতিত্ব আপনাদের। আমাদের ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমরা কথা দিচ্ছি, অতীতের ভুলভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করব।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

আ.লীগের ইশতেহার আওয়ামী লীগ জাতীয়-নির্বাচন টপ নিউজ নির্বাচনি ইশতেহার শেখ হাসিনা সংসদ নির্বাচন স্মার্ট বাংলাদেশ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

সিটিকে রুখে দিল নিউক্যাসেল
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:০৮

সম্পর্কিত খবর