বিজ্ঞাপন

ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে ও এক্সপ্রেস রেলওয়ের অঙ্গীকার

December 27, 2023 | 7:47 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে এবং এক্সপ্রেস রেলওয়ে নির্মাণ করার বিবেচনাসহ সারাদেশে ২০৪১ সাল নাগাদ ১২টি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করার অঙ্গীকার করল আওয়ামী লীগ।

বিজ্ঞাপন

বুধবার( ২৭ ডিসেম্বর) সকালে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরা হয়েছে। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব এবং নির্বাচনী ইশতেহার উপস্থান করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য প্রদান করেন। এরপর ভিডিও ডকুমেন্টারি ‘জার্নি টু বাংলাদেশ’প্রদর্শন করা হয়। সবশেষে অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য এবং ইশতেহার উপস্থাপন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

ইশতেহারে যোগাযোগ অধ্যায়ে বলা আছে, দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে যোগাযোগ অবকাঠামোর গুরুত্ব অপরিসীম। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমেই অর্থনৈতিক উন্নয়নে দেশের অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্য অর্জনে নিরাপদ, মানসম্পন্ন ও উন্নয়নবান্ধব উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিগত ১৫ বছরে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় সৃষ্টি হয়েছে নতুন এক মাইলফলক।

যোগাযোগ খাতের অঙ্গীকারে ইশতেহারে আছে, উন্নয়নের ধারা গতিশীল করার লক্ষ্যে সুনির্মিত ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলার কাজ অব্যাহত থাকবে।

২০৪১ সাল নাগাদ ১২টি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হবে। এক্সপ্রেসওয়েগুলো হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-চট্টগ্রাম (এলিভেটেড), ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা আউটার রিং রোড, ঢাকা-বগুড়া, মিরসরাই-কক্সবাজার, ময়মনসিংহ-বগুড়া, গাবতলী-পাটুরিয়া-কাজিরহাট, ফেনী-বরিশাল, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া- দাশুরিয়া। বর্তমানে দেশে একটি এক্সপ্রেসওয়ে রয়েছে (ঢাকা-ভাঙ্গা)।

বিজ্ঞাপন

জাতীয় মহাসড়ক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সকল মহাসড়ককে চার লেন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমআরটি-১ (বিমানবন্দর-কমলাপুর ও নতুন বাজার-পূর্বাচল ডিপো), এমআরটি-২ (গাবতলী-কাঁচপুর সেতু), এমআরটি-৪ (কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ) ও এমআরটি-৫ (সাভার-ভাটারা) নির্মাণ ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও ইশতেহারে তুলে ধরা হয়েছে।

এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে এবং এক্সপ্রেস রেলওয়ে নির্মাণ সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে বলে ইশতেহারে অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে।

আগামী ৭ জানুয়ারি টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের লক্ষ্যে দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে দলটি। ২০৪১-সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে চার মূল স্তম্ভ হিসাবে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট প্রশাসন, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি ইশতেহারে রয়েছে। ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণ করার অঙ্গীকারে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ উন্নয়ন দৃশ্যমান বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’স্লোগান নিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।

বিজ্ঞাপন

ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের অঙ্গীকারে সাশ্রয়ী, টেকসই অন্তর্ভুক্তিমূলক, জ্ঞানভিত্তিক বুদ্ধিগত, উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। পাশাপাশি ইশতেহারে ১১টি বিষয়ে দেওয়া হয়েছে বিশেষ অগ্রাধিকার।

আরেকটি জাতীয় নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে পুনরায় নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করে সরকার গঠনের সুযোগ কামনা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ স্লোগানে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করে। ওই ইশতেহারে ২০৪১ সালে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং ২১০০ সালে নিরাপদ ব-দ্বীপ পরিকল্পনার রূপরেখা দেওয়া হয়। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘দিন বদলের সনদ’ নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা। সেই ইশতেহারের অঙ্গীকারে ২০২১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে।

২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারের স্লোগান ছিল– ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’। অন্যান্য প্রতিশ্রুতির সঙ্গে অগ্রাধিকার হিসেবে ১০টি মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছিল। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারের স্লোগান ছিল– ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’। এতে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ও ২১০০ সালের মধ্যে ‘নিরাপদ বদ্বীপ’ গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা বলা হয়।

সারাবাংলা/এনআর/একে

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন