বরিশালে জনসভায় সংঘর্ষে এক জনের মৃত্যু, আহত ১৩
২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:৪৭
বরিশাল: বরিশালে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনি জনসভায় সংসদ সদস্য পংকজ নাথ ও শাম্মী আহম্মেদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে সিরাজ সিকদার (৫৮) নামের এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া সংষর্ষে আহত ১৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত সিরাজ সিকদার বরিশালের হিজলা উপজেলার কুড়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। উভয়পক্ষই তাকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করছেন।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কবির উদ্দিন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তবু সন্দেহের কারণে আমরা মরদেহ মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
এর আগে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলে প্রবেশের সময় ২ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বরিশাল-৪ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য পংকজ নাথ এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন দলের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদ। দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় তার প্রার্থিতা নির্বাচন কমিশন বাতিল করেছে।
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভুট্টো মোল্লা অভিযোগ করেন, মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে ঢুকছিলাম। আগে থেকে অবস্থান নেওয়া শাম্মীর অনুসারীরা আমাদের ওপর বোতল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। তখন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সিরাজসহ ১৫ জনকে আহত করা হয়। এরমধ্যে সিরাজ নিহত হয়েছেন।
শাম্মীর অনুসারী হিজলা উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, তারা আগে থেকে জনসভাস্থলে ছিলেন। পংকজ নাথের অনুসারীরা ঢুকেই মারামারি শুরু করেন। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। তখন নিচে পড়ে গিয়ে সিরাজ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মারা যাওয়া সিরাজ সিকদার শাম্মী আহম্মেদের অনুসারী বলে দাবি করেন মঞ্জুর মোর্শেদ।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল হক বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সিরাজ সিকদার। তবে অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কবির উদ্দিন বলেন, ‘দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়ে হাসপাতালে ১৩ জন ভর্তি হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
সারাবাংলা/এমও