Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দল বাঁচিয়ে সরকার: কেন্দ্রের ‘ভার’ কমিয়ে তৃণমূল-অভিজ্ঞতায় আস্থা

তরিকুর রহমান সজীব, অ্যাডিশনাল নিউজ এডিটর
১২ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:৫৫

বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ। ছবি: পিআইডি

ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভূমিধ্বস জয়ের মাধ্যমে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ আসন পাওয়া দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবারের মতো মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীসহ ৩৭ সদস্যের এই মন্ত্রিসভায় পূর্ণ মন্ত্রী ২৫ জন, প্রতিমন্ত্রী আছেন আরও ১১ জন। আগের মন্ত্রিসভা থেকে শেখ হাসিনা স্থান দিয়েছেন ১৭ জনকে। আগে কোনো না কোনো সময় মন্ত্রী থাকা পাঁচজনকেও নিয়েছেন। আর আনকোরা রয়েছেন ১৪ জন, যারা প্রথমবারের মতো মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রিসভার সদস্যদের তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মাত্র ১০ জনকে স্থান পেয়েছেন এই মন্ত্রিসভায়। তাদের মধ্যে সবাই দলের সিনিয়র নেতা এবং কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদবি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পর্যন্ত। সাংগঠনিক কাঠামোয় এর নিচের পদগুলো থেকে কেবল একজন কার্যনির্বাহী সদস্য প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। আর উপদেষ্টা পরিষদ থেকে মন্ত্রী হয়েছেন একজন।

অন্যদিকে এবারের মন্ত্রিসভায় যারা স্থান পেয়েছেন, তার অধিকাংশই প্রবীণ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। মন্ত্রিসভার পুরনো ১৭ জনের মধ্যে দুয়েকজন কিছুটা কম বয়সী হলেও, তবে তারাও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সামলানোর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। বাকি ১৯ জনের মধ্যে পাঁচজন এর আগের কোনো না কোনো সময় মন্ত্রী ছিলেন। তারা প্রত্যেকেই ষাটোর্ধ্ব। বাকি ১৪ জন যারা প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন, তাদের ১২ জনই ষাটোর্ধ্ব। বাকি দুজনের একজনের বয়স পঞ্চাশের বেশি, একজনের বয়স পঞ্চাশের কম।

আরও পড়ুন-

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টানা একের পর এক মেয়াদে সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের জন্য সরকার পরিচালনা করার চ্যালেঞ্জ যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে দলকে সঠিকভাবে পরিচালনার চ্যালেঞ্জও। টানা ক্ষমতায় থাকায় দলের সাংগঠনিক কাঠামোকে আরও সুশৃঙ্খল রাখতে কেন্দ্রীয় কমিটিকে নির্ভার রাখতেই সেখান থেকে মন্ত্রিসভায় সদস্যসংখ্যা কম অন্তর্ভুক্তির কৌশল নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে মন্ত্রিসভায় সদস্য অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন তৃণমূলের অভিজ্ঞ সব রাজনীতিবিদদের।

কেন্দ্রীয় কমিটির যারা মন্ত্রিসভায়, যারা নেই

এবারের মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যারা স্থান পেয়েছেন তাদের মধ্যে দলের শীর্ষ দুই নেতা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের তো রয়েছেই। দলের সভাপতিমণ্ডলীর ১৬ সদস্যের মধ্যে মন্ত্রিসভায় রয়েছেন চারজন— মুহাম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মো. আব্দুর রহমান ও সিমিন হোসেন রিমি। এ ছাড়া বাইরে দুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং ডা. দীপু মনি রয়েছেন মন্ত্রিসভায়। কার্যনির্বাহী সদস্যদের মধ্যে একমাত্র স্থান পেয়েছেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। আর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে মন্ত্রী হয়েছেন ইয়াফেস ওসমান।

পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন শেখ হাসিনা। শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: পিএমও

এবারে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র নেতা এবং এর আগেও বিভিন্ন মেয়াদে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা অনেক নেতাও জায়গা পাননি। মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, মোজাফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, বাহাউদ্দিন নাছিম, ড. সেলিম মাহমুদ, আব্দুস সোবহান গোলাপ, অসীম কুমার উকিলের মতো নেতারা আলোচনায় থেকেও বাদ পড়েছেন।

দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল আলোচনায় থেকেও শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি। এ ছাড়া দলে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, রাজিউদ্দিন আহম্মেদ রাজু, রমেশ চন্দ্র সেন, নুরুল ইসলাম নাহিদরাও মন্ত্রিত্বের মুখ দেখেননি এবার।

মন্ত্রিসভায় কমছে কেন্দ্রীয় কমিটির হিস্যা

হিসাবে দেখা যায়, গত তিনটি মন্ত্রিসভার মধ্যে এবারই কেন্দ্রীয় কমিটির সবচেয়ে কমসংখ্যক সদস্য স্থান পেয়েছেন মন্ত্রিসভায়। এর আগে দশম সংসদের সরকার গঠনের সময় আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছিলের ১৫ জন। সে হিসাবে কেন্দ্রীয় কমিটির ২১ শতাংশেরও বেশি সদস্য মন্ত্রিসভায় ছিলেন।

এরপর একাদশ সংসদের মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন আগের চেয়ে একজন কম— ১৪ জন। হিসাব বলছে, মন্ত্রিসভায় ১১৮ সদস্যের এই কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের অংশগ্রহণ কমে নেমে আসে ১২ শতাংশের নিচে। আর এবার ১২৩ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির মাত্র ১০ জন রয়েছেন মন্ত্রিসভায়, শতাংশের হারে যা ৮ শতাংশের সামান্য কিছু বেশি। অর্থাৎ শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় ক্রমশই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অংশগ্রহণ কমছে।

মন্ত্রীদের শপথ পড়াচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: পিআইডি

অভিজ্ঞতা আর তৃণমূলের উপস্থিতিতে ভারী

এবারের মন্ত্রিসভায় নতুন যে ১৯ জনের স্থান হয়েছে তাদের মধ্যে পাঁচজন এর আগেও শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করেছেন। ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও সাবের হোসেন চৌধুরীর প্রত্যেকেই অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। বাকি যে ১৪ জন জীবনে প্রথমবার মন্ত্রী হয়েছেন, তাদের মধ্যেও বয়সে তরুণ বা তুলনামূলকভাবে কম বয়সী কেউ নেই বললেই চলে।

প্রথমবার মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া সাত পূর্ণ মন্ত্রীর মধ্যে দুজন ষাটোর্ধ্ব, দুজনের বয়স ৭০ বছর, দুজন সত্তরোর্ধ্ব এবং একজনের বয়স ৮০ বছরেরও বেশি। অন্যদিকে প্রথমবার যে সাতজন প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন তাদের মধ্যে মাত্র দুজনের বয়স ৫০ বছরের কম। বাকিদের মধ্যে একজন পঞ্চাশোর্ধ্ব এবং বাকি চারজনই ষাটোর্ধ্ব।

প্রথমবার মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন মো. আব্দুস শহীদ, যিনি মৌলভীবাজার-৪ আসন থেকে সাত সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এবার সংসদ সদস্য হয়েছেন চতুর্থবারের মতো। ১৯৭০ সালেই তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ময়মনসিংহ-৯ আসনের আব্দুস সালাম সাবেক সেনা কর্মকর্তা। মেজর জেনারেল পদ থেকে অবসর নিয়ে নব্বইয়ের দশক থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত। মন্ত্রিসভার সবচেয়ে বেশি বয়সী সদস্য তিনি।

এদিকে রাজবাড়ী-২ আসনের মো. জিল্লুল হাকিম একাত্তরের রণাঙ্গনের যোদ্ধা। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। এবার পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের নাজমুল হাসান পাপন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ছেলে। রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে ওঠা পাপন প্রায় এক যুগ ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সামলাচ্ছেন। টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী সামন্ত লাল সেনও প্রথিতযশা চিকিৎসক। বাংলাদেশে বার্ন ইনস্টিটিউটগুলো গঠনে তার অবদান তাৎপর্যপূর্ণ।

নতুন নিযুক্ত প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে সিমিন হোসেন রিমি দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের সন্তান। সিলেট-২ আসের শফিকুর রহমান চৌধুরীও সত্তরের দশক থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত। পার্বত্য খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা প্রত্যাবাসন, শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসন টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যানের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। পটুয়াখালী-৪ আসনের মো. মহিববুর রহমান বয়স্ক হলেও সে তুলনায় রাজনীতিতে নতুন।

প্রতিমন্ত্রীদের শপথ পড়াচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: পিআইডি

অন্যদিকে নতুন প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে আহসানুল ইসলাম টিটু, রুমানা আলী ও মোহাম্মদ এ আরাফাত তুলনামূলকভাবে কম বয়সী। আহসানুল ইসলাম ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি ছিলেন। মোহাম্মদ এ আরাফাত একাডেমিশিয়ান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। রুমানা আলীর বাবা রহমত আলী সাবেক মন্ত্রী। সে হিসেবে তার বেড়ে ওঠা রাজনৈতিক আবহের মধ্যেই। একাদশেও তিনি সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

রাজনীতি পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কোভিড-পরবর্তী পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন দেশে চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিকভাবেই নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ এখন রয়েছে। নতুন সরকারকেও সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ অর্থনীতিতে রয়েছে আরও বেশকিছু চ্যালেঞ্জ। ভূরাজনীতির গুরুত্বের সূত্র ধরেই রাজনৈতিক-অর্থনীতি এখন গুরুত্বপূর্ণ। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্যই অভিজ্ঞদের ওপর আস্থা রাখছেন শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে দলও যেন দলের মতো সুশৃঙ্খলভাবে চলতে পারে, তার জন্যই কেন্দ্রীয় কমিটিকে যতটাসম্ভব সরকার থেকে আলাদা রেখেছেন তিনি।

আওয়ামী লীগ নেতারাও বলছেন একই কথা। দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন এ প্রসঙ্গে সারাবাংলাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল। এই দলটি সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করা সহজ কথা নয়। অন্যদিকে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জ তো রয়েছেই। সরকারকেও পরিচালনার দায়িত্ব আমাদের দলীয় সভাপতি বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার হাতেই। ফলে সরকারের পাশাপাশি দল যে নির্বিঘ্নে চলতে পারে, সেটি নিশ্চিত করার কৌশলই তিনি নিয়েছেন। সেই কৌশলই বাস্তবায়ন করছেন তিনি।’

নতুন সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ ও সেই চ্যালেঞ্জ উত্তরণে মন্ত্রিসভা সক্ষমতা নিয়ে জানতে চাইলে খুলনা-৩ আসন থেকে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘নেত্রী (শেখ হাসিনা) টানা তিন মেয়াদসহ চারটি মেয়াদে বাংলাদেশকে পরিচালনা করেছেন। প্রতিটি মেয়াদেই তার সামনে যে চ্যালেঞ্জ ছিল, সেগুলো সফলভাবে মোকাবিলা করেছেন। দ্রব্যমূল্য, সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদসহ বিভিন্ন যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলো থেকে উত্তরণের সরকার পরিচালনায় যে ধরনের ব্যক্তিদের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হিসেবে প্রয়োজন, তাদেরই বঙ্গবন্ধুকন্যা মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছেন। আমাদের বিশ্বাস, আগের চার মেয়াদের মতো এবারও তিনি সব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে সক্ষম হবেন।’

আরও পড়ুন-

জলবায়ু ফান্ডের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে: সাবের

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

নতুন শিক্ষাক্রম ও মূল্যায়ন পরিবর্তনের আভাস দিলেন শিক্ষামন্ত্রী

পূর্ব-পশ্চিম সবার সঙ্গে সম্পর্কের আরও উন্নয়ন ঘটাব: হাছান মাহমুদ

সারাবাংলা/টিআর

আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি জাতীয়-নির্বাচন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভা মন্ত্রী শেখ হাসিনা শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভা সংসদ নির্বাচন স্মার্ট বাংলাদেশ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর