মধুসূদন দত্তের দ্বিশত জন্মবার্ষিকীতে জবিতে সেমিনার
২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:৩৩
জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) মাইকেল মধুসূদন দত্তকে নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ কবির দ্বিশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মধুসূদন ও বাংলা সাহিত্যে’ শিরোনামে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাহিত্য-শিল্প বিষয়ক আলোচনার সপ্তম পর্বে এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলা সাহিত্যের অবদানে মধুসূদন প্রবাদপুরুষ, বাংলায় অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক, সনেট রচয়িতা মধুকবির স্মরণে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠান হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ূন কবীর চৌধুরী।
অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ূন কবীর চৌধুরী বলেন, মধুসূদন দত্তের জীবনী থেকে আমাদের অনেক শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ আছে। তিনি যা সংকল্প করেছেন, তাই জীবনের একটা সময়ে করেছেন। তিনি বিলাসবহুল জীবনযাপন করলেও অনেক সহানুভূতিশীল ছিলেন। তরুণদের জ্ঞানবৃদ্ধির জন্য তার জীবন ও কর্ম নিয়ে গবেষণা খুবই জরুরি। তার বর্ণাঢ্য জীবন তরুণদের মাঝে নতুন বোধের সৃষ্টি করবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সেমিনার কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. চঞ্চল কুমার বোস।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী। তিনি বলেন, উত্তর আধুনিক কবিতার সূচনা মাইকেল মধুসূদন দত্তের মাধ্যমে। তাকে নিয়ে আমাদের তরুণ লেখক-অধ্যাপকদের মধ্যে যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে তা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মধুসূদন আমাদের মননে মগজে থাকবে।
সেমিনারে ‘মধুসূদন ও বাংলা সাহিত্য’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ মো. আরিফুল আবেদ এবং ‘মিশনারি ইতিহাসতত্ত্ব ও তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও তৎকালীন সমাজের পর্যালোচনা: ১৮২৪-১৮৭৩’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এস এম তানভীর আহমদ।
এছাড়া আলোচক হিসেবে বিভাগীয় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এএসএস/এনএস