চট্টগ্রামে গৃহবধু খুনের মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড
৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে গৃহবধুকে খুনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও নয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ বেগম সিরাজুম মুনিরা এ রায় দেন।
দণ্ডিত মো. সোহেল (৩৫) চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার বাসিন্দা।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিহি চক্রবর্তী সারাবাংলাকে জানান, গৃহবধু খুনের ঘটনায় আদালত দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় আসামি সোহেলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। একই রায়ে আদালত তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও নয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানামূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার নথি পর্যালোচনা করে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল দুপুরে কোতোয়ালি থানার তৈলাপট্টি রোডের আমিন ম্যানশনের চতুর্থ তলায় রোকসানা আক্তার মনি নামে এক গৃহবধুকে বাসায় ঢুকে চাকু ও খেলনা পিস্তল বের করে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন সোহেল। পরে রোকসানা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন সোহেল। রোকসানাকে হত্যার পর তার ছেলে আবদুল আজিজকেও উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন তিনি।
ঘরের কাজের বুয়া বিষয়টি দেখে ফেললে তাকে ভয় দেখিয়ে ওয়াশরুমে আটকে রাখে। এরপর আলামত নষ্ট করার জন্য রান্নাঘর থেকে আগুন এনে শোয়ার ঘরের বিছানা ও বালিশে আগুন ধরিয়ে দেয়। চলে যাওয়ার সময় তিনি বাসায় থাকা ল্যাপটপ, মোবাইলসহ স্বর্ণালংকার ব্যাগে ভরে নিয়ে যান।
রোকসানাকে হত্যা করে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আবদুস সোবহান নামে এক পথচারী সোহেলকে বাধা দেন। এ সময় সে তাকেও ছুরিকাঘাত করে। ঘটনার পরদিন রোকসানার স্বামী আবুল কাশেম কোতোয়ালি থানায় একজন অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোহেলকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ সোহেলকে আসামি করে আদালতে ২০১৯ সালের ২০ জুলাই অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলায় ২৩ জনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালত এ রায় দেন।
সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম