সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩৪ জনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি
১৪ মার্চ ২০২৪ ০০:০৫
ঢাকা: গাজীপুর কালিয়াকৈর টপস্টার এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩৪ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছে। বুধবার(১৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।
বিস্ফোরণে সোলাইমান মোল্লার (৪৫) ৯৫ শতাংশ, মোতালেব হোসেনের (৪৮) ৯৫ শতাংশ, মহিদুলের (২৫) ৯৫ শতাংশ, গোলাম রাব্বীর (১৩) ৯০ শতাংশ, নার্গিসের (২৫) ৯০ শতাংশ, ইয়াছিন আরাফাতের (২১) ৮৫ শতাংশ, লাদেনের (২২) ৮৫ শতাংশ, তায়েবার (৩) ৮০ শতাংশ, মো. সোলাইমানের (৬) ৮০ শতাংশ, আব্দুল কুদ্দুসের (৪৫) ৮০ শতাংশ, কোমেলা খাতুনের (৮০) ৮০ শতাংশ, নিলয়ের (১০) ৮ শতাংশ, মো. আরিফের(৪০) ৭০শতাংস, জহুরুল ইসলাম কুটির (৩২) ৫৮ শতাংশ, মশিউরের (২২) ৫২ শতাংশ, সাদিয়া খাতুনের (১৮) ৫ শতাংশ, নুরনবীর(৫) ৫ শতাংশ, কবির হোসেনের (৩০) ৪৫ শতাংশ, মুন্নাফের (১৮) ৪০ শতাংশ, নাঈমের (১৩) ৪০ শতাংশ, লালনের (২৪) ৪০ শতাংশ, নিরবের (৭) ৩২ শতাংশ, রামিছার (৩৬) ৩ শতাংশ, আজিজুলের (২৪) ৩ শতাংশ, শিল্পির (৪৫) ২৫ শতাংশ, সুমনের(২৫) ২৫ শতাংশ, তারেক রহমানের (১৮) ২০ শতাংশ, মিরাজের(১৩) ১৫ শতাংশ, মনসুরের (৩০) ১০০ শতাংশ, সুফিয়ার (৯) ১০ শতাংশ, শারমিনের (১১) ১০ শতাংশ, রাহিমার (১০) ১০ শতাংশ ও রতনার (৪০) ১ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুন:
বার্ন ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক ডা. হোসাইন ইমাম ইমু জানান, গাজীপুর থেকে নারী-শিশুসহ ৩৪ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে এসেছেন। এদের মধ্যে ১৬ অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিদের অবস্থাও শংঙ্কামুক্ত নয়। ইতোমধ্যে পাঁচ জনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
গাজীপুর থেকে আসা সাহালম জানান, তার ছেলে গোলাম রাব্বী ও মেয়ে শারমিন দগ্ধ হয়েছেন। রাব্বীকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে। শারমিনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বিকেলে ওই এলাকার শফিক নামে এক ব্যক্তি রান্নার জন্য বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে আসে। কিন্তু চুলার সঙ্গে লাগানোর সময় লিকেজ হয়ে সেই সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বেরুতে থাকে। তখন শফিক গ্যাস সিলিন্ডার রাস্তায় রেখে যায়।
সাহালম বলেন, ‘এ সময় আমার ছেলে ও মেয়েসহ এলাকার নারী, পুরুষ, শিশু- সবাই সিলিন্ডার দেখতে ভিড় করে। অনেকেই বাসার গেট থেকে দেখতে থাকে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সিলিন্ডারে আগুন ধরে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সবাই দগ্ধ হন।’
সারাবাংলা/এসএসআর/পিটিএম