Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেশে কমেছে তালাকের সংখ্যা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৪ মার্চ ২০২৪ ১৪:১৪

ঢাকা: দেশের তালাকের সংখ্যা কমেছে। ২০১৮ সালে প্রতি হাজারে তালাকের সংখ্যা ছিল ১৮ দশমিক ১ জন, যা ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ১৫ দশমিক ৭ জন। গ্রাম অঞ্চলে ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৯ দশমিক ৫ জন, ২০২৩ সালে তা কমে হয়েছে ১৬ দশমিক ৮ জন। শহরে ২০২২ সালে তালাকের সংখ্যা ছিল ১৩ দশমিক ৮ জন, যা ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ১২ জন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস অডিটরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু।

প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, এ তথ্য কাজে লাগিয়ে সঠিক পরিকল্পনা করা সম্ভব হবে। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সকলে মিলে সমৃদ্ধি দেশ গড়ে তুলতে পারব।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এখনো অবিবাহিত ১০ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যা হার ২০২২ সালে ছিল ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ। বিবাহিত জনসংখ্যা ২০২২ সালে ছিল ৬৩ দশমিক ৯ শতাংশ, যা বর্তমানেও একই। বিধাব ও তালাক বেড়েছে ২০২২ সালে ছিল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

প্রথম বিবাহের গড় বয়স বেড়েছে। ২০২২ সালে ছিল ২৪ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে হযেছে ২৪ দশমিক ২ শতাংশ। গ্রামে ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৩ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে হয়েছে ২৪ শতাংশ। শহরে ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৫ দশমিক শতাংশ, যা ২০২৩ সালে হয়েছে ২৫ দশমিক এক শতাংশ।

বাল্যবিবাহের সংখ্যা বেড়েছে। ২০২২ সালে ১৫ বছর বয়সের আগে বিবাহের হার ছিল ৬ দশমিক ৫ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাড়িয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। গ্রামে ২০২২ সালে এ হার ছিল ৬ দশমিক ৯ শতাংশ, বর্তমানে এ হার হয়েছে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ। শহরে ২০২২ সালে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৩ শতাংশ, যা বর্তমানে হয়েছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।

২০২২ সালে ১৮ বছর বয়সের আগে বিবাহের হার ছিল ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ। গ্রামে ২০২২ সালে এ হার ছিল ৪২ দশমিক ৯ শতাংশ, বর্তমানে এ হার হয়েছে ৪৬ দশমিক ৪ শতাংশ। শহরে ২০২২ সালে এ হার ছিল ৩৪ দশমিক ৯ শতাংশ, যা বর্তমানে হয়েছে ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ।

জনশুমারি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি ১০ লাখ। যা ২০২২ সালে ছিল ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ৩০ হাজার। এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ১১ লাখ ১৭ হাজার। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বর্তমানে ৮ কোটি ৩৯ লাখ ১০ হাজার, যা ২০২২ সালে ছিল ৮ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার। নারীর সংখ্যা বর্তমানে ৮ কোটি ৭০ লাখ ৯০ হাজার, যা ২০২২ সালে ছিল ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার।

জনশুমারি অনুযায়ী মুসলমানের হার ২০২২ সালে ছিল ৮৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ, যা বর্তমানে হয়েছে ৮৯ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। হিন্দুর সংখ্যা ২০২২ সালে ছিল ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ, যা বর্তমানে হয়েছে ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ। বৌদ্ধর সংখ্যা ২০২২ সালে ছিল ১ দশমিক ১১ শতাশংশ, যা বর্তমানে এক দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। খ্রিস্টানদের সংখ্যা ২০২২ সালে ছিল শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ, যা বর্তমানে শূন্য দশমি ২৪ শতাংশ।

বিবিএস’র মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থানপন করেন এসভিআরএস ইন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম প্রকল্পের পরিচালক আলমগীর হোসেন। আরও বক্তব্য দেন বিবিএস’র ডেমোগ্রাফি অ্যান্ড হেলথ উইংয়ের পরিচালক মাসুদ আলম এবং প্রশ্ন উত্তর পর্ব পরিচালনা করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ববস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. দীপংকর রায়।

সারাবাংলা/জেজে/এনএস

টপ নিউজ তালাক বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

‘আমাদের সেনাবাহিনী যেন তৈরি থাকে’
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:২৯

আগস্টে কমেছে মূল্যস্ফীতি
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:০৭

সম্পর্কিত খবর