স্বাধীনতার ৫২ বছর পর রাঙ্গামাটিতে হলো স্থায়ী স্মৃতিসৌধ
২৪ মার্চ ২০২৪ ১৯:৫৩
রাঙ্গামাটি: স্বাধীনতা ঘোষণার ৫২ বছর পর অবশেষে স্থায়ী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবে রাঙ্গামাটির সর্বস্তরের মানুষ। আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে রাঙ্গামাটি জেলায় নির্মিত কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে প্রথমবারের মতো শ্রদ্ধা জানাবে বিভিন্ন সরকারি দফতর, রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ। এবারই প্রথমবারের মতো স্থায়ী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো হবে রাঙ্গামাটিতে।
দেশ স্বাধীনের পর বিগত বছরগুলোতে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে বীর শহিদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি ও পুষ্পস্তবক দেওয়া হতো জেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে।
রোববার (২৪ মার্চ) বিকেলে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, জেলা শহরের সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের পার্শ্ববর্তী বঙ্গবন্ধু ম্যুারালের পাশে নির্মিত স্থায়ী স্মৃতিসৌধ চত্বরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হচ্ছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এবার প্রথম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখনও স্মৃতিসৌধে বীর শহিদদের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়নি।
জানা গেছে, স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ করেছে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় স্মৃতিসৌধ না থাকায় স্থায়ী স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিল জেলার প্রগতিশীল সংগঠনগুলো। জেলা ছাত্র ইউনিয়নের নেতা অর্ক বড়ুয়া বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এসে হলেও রাঙ্গামাটি জেলার মানুষ স্থায়ী স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে পারবেন এবং শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। এটা ভালো উদ্যোগ। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ অনেক বিলম্ব হয়েছে।’
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাঙ্গামাটি জেলা ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘রাঙ্গামাটি জেলায় স্থায়ী স্মৃতিসৌধ না থাকায় মহান স্বাধীনতা দিবস, ভাষা শহিদ দিবস ও বিজয় দিবসে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো হতো। এখন স্থায়ীভাবে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করায় এই বছর থেকে স্থায়ী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো হবে। তবে এখনও স্মৃতিসৌধের কিছু কাজ অসম্পন্ন রয়ে গেছে। বীর শহিদদের নাম উল্লেখসহ অন্যান্য অসম্পূর্ণ কাজ শিগগিরই করা প্রয়োজন।’
সারাবাংলা/এমও