ঈদযাত্রায় উত্তরের অস্বস্তির কারণ হতে পারে গোবিন্দগঞ্জ
৭ এপ্রিল ২০২৪ ১১:১৮
গাইবান্ধা: উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক। এই মহাসড়কে পুরোদমে চলছে চার লেন প্রকল্পের কাজ। আসন্ন ঈদুল ফিতরে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ সামাল দিতে ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত চার লেন চালু করা হয়েছে। ফলে এবার অনেকটা স্বস্তিতেই মানুষ ঘরে ফিরতে পারবেন বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে রংপুর বিভাগের আট জেলার মানুষের অস্বস্তির কারণ হতে পারে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ। ভূমি অধিগ্রহণ ও মামলা জটিলতার কারণে সড়ক সম্প্রসারণ কাজ শুরু করা যায়নি। ফলে মহাসড়কের এই অংশ সরু হওয়ায় গাড়ি চলাচলে বাধা ও ধীরগতিতে যানজটের পড়ার আশঙ্কা করছেন চালক ও যাত্রীরা।
জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জের চাপড়ীগঞ্জ থেকে ধাপেরহাট পর্যন্ত প্রায় ৩১ কিলোমিটার জুড়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের অবস্থান। এই সড়ক দিয়ে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার সব ধরনের যান চলাচল করে। বগুড়া ও রংপুর অংশে মহাসড়কের নির্মাণ কাজ মোটামুটি সম্পন্ন হওয়ায় ঢাকাসহ অন্য রুট থেকে আসা সকল যান খুব দ্রুত গোবিন্দগঞ্জ শহরে ঢুকে পড়ে। আবার রংপুর দিক থেকে আসা যানবাহনও খুব দ্রুত চলে আসে এই শহরে। কিন্তু গোবিন্দগঞ্জে মহাসড়কের দুই পাশের প্রায় দেড় কিলোমিটার জায়গা অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এখন পর্যন্ত সড়কের এই অংশ বেশ সরু। ফলে উভয় দিক আসা যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয় এখানে। এছাড়া শহর এলাকায় যাত্রীদের জন্য অপেক্ষমান অটোরিকশা, সিএনজি ও ভ্যান দাঁড়িয়ে থাকায় যানজট আরও বেড়ে যায়। আর ঈদের সময় বাড়ি ফেরত যাত্রীদের গাড়ির সংখ্যা বাড়ায় এই সড়কে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চালক, যাত্রী ও স্থানীয়রা।
ঢাকা-রংপুর রুটে চলাকারী যাত্রীবাহী কোচের চালক শাহজাহান আলী বলেন, ‘মহাসড়কের অনেক জায়গা প্রশস্ত হওয়ায় ঢাকা থেকে আসার সময় খুব দ্রুত গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় ঢুকে পড়ি। কিন্তু শহর এলাকার মহাসড়ক সরু হওয়ায় এখানে এসে পড়তে হয় যানজটে। যে কারণে ঈদের সময় মহাসড়কের অন্যান্য এলাকা থেকে ভালভাবে এলেও গোবিন্দগঞ্জ শহরে ভয়াবহ যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।’
হাইওয়ে পুলিশের রংপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হরেশ্বর রায় সারাবংলাকে বলেন, গোবিন্দগঞ্জ শহরে যানজটের আশঙ্কার বিষয়টি হাইওয়ে পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে হাইওয়ে পুলিশ অনেক গুরুতপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরে মধ্যে শহরের বকচর, উপজেলা মোড়, বাজার মোড়, হাইস্কুল মোড়, জেপি পেট্রোল পাম্পের সামনেসহ মোট সাত পয়েন্ট যানজট প্রবণ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া মহাসড়কে থ্রি-হুইলার ও অনুমোদনহীন যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না এবং কোনো যানকে অযথা দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। হালকা যানবাহনের জন্য মহাসড়কের বাইরে বিকল্প সড়কে চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে। আর এসব কাজে তদারকির জন্য হাইওয়ে পুলিশ ঈদের আগে থেকেই অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে শতাধিক পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করবে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়া বলেন, যানজট মোকাবিলায় পুলিশর সঙ্গে আনসার সদস্যরাও কাজ করবে। আর রাস্তায় যাতে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচলতে করতে পারে সেজন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং সাসেক প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে খানাখন্দ মেরামতের জন্য বলা হয়েছে। যানজট মুক্ত রাখতে অতীতের মতো সব ধরনের প্রস্ততি রাখা হয়েছে।
সারাবাংলা/জিএম/এনএস