বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারের হিডেন চার্জ বন্ধে হাইকোর্টে রিট
৬ জুন ২০২৪ ২১:৪৪
ঢাকা: বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে অতিরিক্ত চার্জ, গোপন চার্জ বন্ধ করা, জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের বিলিং অনুশীলন পর্যালোচনা ও নিরীক্ষা এবং অতিরিক্ত চার্জ ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ এম জামিউল হক ফয়সাল, কামরুল হাসান রিগ্যান ও জাকির হায়দারের পক্ষে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হাদী এ রিট দায়ের করেন।
রিটে জালানি ও বিদ্যুৎ সচিব, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, বাংলাদেশ রুরাল ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, ডেসকো, ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি ও ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষসহ নয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটে গোপন বা লুকানো চার্জ এবং অতিরিক্ত ফি আরোপের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ প্রিপেইড মিটার বিলিং প্র্যাকটিসের ব্যাপক পর্যালোচনা করা ও স্বাধীন নিরীক্ষা পরিচালনার জন্য এবং সব ভোক্তাদের স্বচ্ছ ও ন্যায্য বিলিং নিশ্চিতে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি অন্যায়ভাবে আরোপিত ও আদায়কৃত মিটার ফি বা চার্জের অর্থ ফেরতের নির্দেশ দিতে আর্জি জানানো হয়েছে।
এ ছাড়াও রুল শুনানির অপেক্ষায় থাকাকালীন, পত্রিকায় প্রকাশিত অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি নিরপেক্ষ স্বাধীন কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়ারও আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে, গত ২১ মে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে অতিরিক্ত চার্জ, গোপন চার্জ বন্ধ, জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের বিলিং অনুশীলন পর্যালোচনা ও নিরীক্ষা এবং অতিরিক্ত চার্জ ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। রেজিস্ট্রি ডাক এবং ই-মেইলযোগে উপরিউক্ত বিবাদীদের বরাবর এই নোটিশ পাঠানো হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ এম জামিউল হক ফয়সাল, কামরুল হাসান রিগ্যান ও জাকির হায়দারের পক্ষে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হাদী এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশ প্রদানকারী আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল বলেছিলেন, ‘প্রিপেইড বৈদ্যুতিক মিটার চালু সত্ত্বেও ভোক্তারা অতিরিক্ত চার্জ, গোপন চার্জ এবং স্বচ্ছতার অভাবসহ বিভিন্ন কারণে গ্রাহকেরা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। সমস্যাগুলো গ্রাহকদের জন্য ব্যাপক অসন্তোষ ও আর্থিক কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। গণমাধ্যমে এ বিষয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে বিলিং প্র্যাকটিস পর্যালোচনা ও নিরীক্ষা, স্বচ্ছতা, অতিরিক্ত চার্জের রিফান্ড, জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ এবং নীতি সংস্কারের দাবিতে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।
কিন্তু নোটিশের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোন সাড়া না দেওয়ায় হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়েছে বলে জানান রিট আবেদনকারী আইনজীবী এ এম জামিউল হক ফয়সাল। আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের যেকোনো একটি বেঞ্চে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানান তিনি।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম