‘মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে ড. ইউনূসের দাবি অসাংবিধানিক ও বেআইনি’
১ আগস্ট ২০২৪ ১৫:৩১
ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে ড. ইউনূসের দাবি অসাংবিধানিক ও বেআইনি। বাংলাদেশের ওপর বিদেশি হস্তক্ষেপে তার বিবৃতি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ড. ইউনূস অতিসম্প্রতি একটা বিবৃতিতে বাংলাদেশের ওপর হস্তক্ষেপ করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে। তার এ ধরনের বিবৃতি বা মন্তব্য বাংলাদেশের সংবিধান, আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রদ্রোহিতার পর্যায়ে পড়ে এবং আন্তর্জাতিক আইনেরও চরম লঙ্ঘন। তিনি বাংলাদেশের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন। তার এ ধরনের কথাবার্তা সম্পূর্ণ অসংবিধানিক ও বেআইনি। তারই আহ্বান বাংলাদেশকে ছোট করেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। তিনি একজন নোবেল বিজয়ী। বাংলাদেশকে হীন করা তার পক্ষে কি শোভা পায়? তার বিরুদ্ধে চলমান বিচার থেকে বাঁচতে তিনি এটা করেছেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক নির্বাচনে সাংবিধানিকভাবে বৈধ সরকার। সরকারের পরিবর্তন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই হওয়া সম্ভব।
ড. ইউনূসের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে মধ্যবর্তী নির্বাচনের জন্য বিশ্বের বহু দেশে ড. ইউনূসের আহ্বান রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও সংবিধান পরিপন্থি, তার বিরুদ্ধে চলমান বিচার থেকে বাঁচতে তিনি এটা করেছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের বিভিন্ন আদালতে যখন ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অর্থপাচারের মামলা চলছে তখন চলমান বিচার থেকে বাঁচার জন্য তিনি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। তার এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা জন্য সরকার সহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের মিছিলে জঙ্গি গোষ্ঠী অনুপ্রবেশ করে খুব কাছে থেকে অনেককে গুলি করেছে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের তদন্ত হচ্ছে, তদন্তে বেরিয়ে আসবে গুলি কীভাবে শিশুর মাথায় বা চোখে লাগল।
তিনি আরও বলেন, গোটা দেশ থেকে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীদের এনে ক্ষমতা দখলের জন্য ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। তাদের নেতা লন্ডনে বসে উসকানি দিয়ে, আদেশ দিয়ে সারা দেশে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
দেখামাত্র গুলির নির্দেশনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেয়া হয়নি, সেনাবাহিনী কোথাও গুলি ছুড়েছে এমন খবর আমাদের জানা নেই, তারপরও আমরা বলবো তদন্তের মাধ্যমে সত্য বেরিয়ে আসছে, বলেন কাদের।
নিরপরাধ কেউ যাতে হয়রানি না হয় সেই বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ করেন তিনি।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, গণভবন রক্ষার জন্য কারফিউ দিতে হয়েছে এমন কথা আমি বলিনি, বলেছি সেনা মোতায়েন জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য।
এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হকসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এনআর/এনইউ