ড্যাপ বাতিলের দাবি রিহ্যাবের
২১ আগস্ট ২০২৪ ১৬:১২
ঢাকা: রাজউক প্রণীত বৈষম্যমূলক বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) বাতিলের জানিয়েছে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।
বুধবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান। এ সময় সংগঠনের অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে রিহ্যাব সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, বৈষম্যমূলক বিষদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) ২০২২-২০৩৫ অনুসারে ঢাকা শহরের বেশির ভাগ এলাকায় পূর্বে ভবনের যে আয়তন পাওয়া যেত এখন তার প্রায় ৬০ শতাংশ পাওয়া যায়। এর ফলে খাল বিল, জলাশয় ও কৃষিজমি দ্রুত গতিতে হ্রাস পাবে ও যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ক্ষতিকর হবে। ফলশ্রুতিতে আবাসন শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় ৪০ লাখ লোক বেকার হয়ে পড়বে এবং জনগণ বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হবে, পক্ষান্তরে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন কমে যাবে।
তিনি বলেন, ২০২২ সালে বৈষম্যমূলক ও ক্রটিপূর্ণ বিষদ অঞ্চল পরিকল্পনা ২০২২-২০৩৫ প্রকাশ করে। যার ফলে ঢাকা শহরের উন্নয়ন একে বারেই স্থবির হয়ে পড়েছে। পরে বিগত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ড্যাপ প্রকাশের প্রকাশের এক বছরের মধ্যেই তড়িঘড়ি করে কিছু সংশোধন আনা হয়। এতেও আবাসন শিল্পের স্থবিরতা কাটেনি এবং জনগণের অসন্তোষ বিদ্যমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একটি আবাসন প্রকল্প শুরু করলে দুই থেকে চার বছর লাগে বিল্ডিং তৈরি করতে। বৈষম্যমূলক ও ক্রটিপূর্ণ ড্যাপ (২০২২-২০৩৫) দুই বছর আগে প্রকাশ হয়। এটি প্রকাশের পর আমাদের ডেভেলপাররা নতুন কোনো প্রকল্প গ্রহণ করতে পারছেন না। যে প্রকল্পগুলো চলমান তা আগের নিয়মে পাশ করা। যারা ব্যক্তি উদ্যোগে বাড়ি করেন তারাও প্ল্যান পাশ করতে আগ্রহী হচ্ছে না। কারণ অনেক এলাকায় আগে যেখানে আটতলা ভবন তৈরি করতে পারতেন নতুন ড্যাপের ফার অনুযায়ী বাড়ি তৈরি করতে পারবেন ৪ থেকে ৫ তলা।
এই ড্যাপ প্রজ্ঞাপন জারির পর আবাসন খাতে ব্যাপক মাত্রায় স্থবিরতা নেমে এসেছে। আগামী এক বছর পর থেকে সংকট আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে। বিশেষ করে যোগান-চাহিদার মধ্যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হবে। আমাদের আবাসন শিল্প একে বারে কোমায় চলে যাবে। অসংখ্য আবাসন প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। দ্রত এই ড্যাপ বাতিলের দাবি জানায় সংগঠনটির নেতারা।
সারাবাংলা/ইএইচটি/ইআ