Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০০:২৩

রংপুর: রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার রংপুর মহানগর পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আমীর আলী ও তাজহাট থানার কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে এর আগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এই দুই পুলিশ সদস্যের গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার জাকির হোসেন।

বিজ্ঞাপন

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ১৬ জুলাই রংপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন আবু সাঈদ। দুহাত বাড়িয়ে রাখা অবস্থায় আবু সাঈদকে পুলিশের গুলি করার ভিডিও ভাইরাল হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলন আরও জোরদার হওয়ার পেছনে আবু সাঈদের বুক চিতিয়ে গুলি খাওয়ার ঘটনাটি বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।

আন্দোলনের জের ধরে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১৮ আগস্ট আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে ভাই হত্যার বিচার চেয়ে মামলা করেন। রংপুর মহানগরীর তাজহাট থানায় করা ওই মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, ডিসি ক্রাইম আবু মারুফ হোসেন, পুলিশ সদস্য সৈয়দ আমীর আলী, সুজন চন্দ্র রায়সহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে।

পিবিআই পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, এই মামলায় আসামি এএসআই মো. আমীর হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার রিকুইজিশনের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোমবার মহানগর পুলিশ পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগ সরকারে থাকা অবস্থাতেই গত ৩ আগস্ট এএসআই আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ। সরকার পতনের পর গত ১৩ আগস্ট একই ঘটনায় রংপুর রেঞ্জের দায়িত্বে থাকা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আবদুল বাতেন ও রংপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

আবু সাঈদ হত্যা মামলার এজাহারে সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী উল্লেখ করেছেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। গত ১৬ জুলাই তিনি একা ও নিরস্ত্র ছিলেন। দৃশ্যত পুলিশের জন্য হুমকি ছিলেন না। তা সত্ত্বেও তাকে শটগান দিয়ে গুলি করা হয়। আবু সাঈদ পড়ে গিয়ে একাধিকার দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে একাধিকবার গুলি করেন।

সারাবাংলা/টিআর

আবু সাঈদ আবু সাঈদকে হত্যা গুলিতে নিহত পুলিশ গ্রেফতার পুলিশ সদস্য রংপুর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর