‘রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করা যাবে না’
২৬ অক্টোবর ২০২৪ ২২:৫০
ঢাকা: রাষ্ট্রপতি ফ্যাসিবাদের প্রোডাক্ট হলেও তাকে সরিয়ে বড়ধরনের সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘আজ রাষ্ট্রপতির বিষয় নিয়ে কথা উঠেছে। আমরা সবাই জানি এই রাষ্ট্রপতি ফ্যাসিবাদেরই একটি প্রোডাক্ট। আপনি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন, ছোটখাটো যদি গর্ত হয় সেটা টপকে পার হয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু যদি খাল হয় তখন তো সেটা টপকানোর সম্ভব নয়। সেটি টপকাতে গেলে পড়ে যেতে পারেন। সুতরাং, যাতে কোনো সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি না হয় সেজন্য অনেক চিন্তা করে আমাদের কাজ করতে হবে। অল্প শূন্যতা হলে সেই শূন্যতা ভরাট করে দেয়। কিন্তু বড় শূন্যতা হলে ওটা ভরাট করা মুশকিল হয়।’
সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘দুনিয়া কাঁপানো বিপ্লবের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সরকারের দায়িত্ব তারা নিশ্চয়তা দেবে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের। সেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করা দরকার। এর মধ্যে সংস্কারের যে কথাগুলো উঠেছে সেটা তারা করবে। কিন্তু কথা হলো তারা কতদিনে করবে?
তিনি বলেন, ‘এ দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দল যারা গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছে তারা সবাই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। নিঃসন্দেহে ড. মোহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের একজন কৃতি মানুষ। বাংলাদেশের জন্য যিনি সুনাম বয়ে এনেছেন। প্রত্যেকেই তাকে শ্রদ্ধা করে। যে গণতন্ত্রের জন্য এত লড়াই, এত সংগ্রাম, অনেক মা সন্তানহারা, অনেক স্ত্রী স্বামীহারা- এটা তো শুধুমাত্র গণতন্ত্রের কথা বলার জন্য এবং নাগরিক স্বাধীনতার জন্য। তাই যদি হয় তাহলে নির্বাচন নিয়ে আপনাদের এত দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কেন? নির্বাচনের জন্য আপনারা যে তারিখটা দেবেন সেটা বলে দিন। এর মধ্যে যতটুকু সংস্কার করা দরকার করুন।’
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘জনগণ তো সংস্কার চায়। শেখ হাসিনার বিচার বিভাগ জনগণ চায় না, প্রশাসন চায় না, পুলিশ চায় না। যে পুলিশ মানবদরদী হবে, যে জনপ্রশাসন জনগণের কল্যাণে আসবে, জনগণ সেই প্রশাসন চায়। এগুলো সংস্কার করতে কতদিন সময় লাগবে? বিচার বিভাগ হচ্ছে মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। এটা সংস্কার করতে কতদিন সময় লাগবে? বেশিদিন তো সময় লাগার কথা নয়।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা ফখরুল ইসলাম রবিন, ডা.জাহিদুল কবির প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম