সুরের ধারার অনুকূলে বন্দোবস্ত দেওয়া খাস জমির অনুমতি বাতিল
৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:১৬ | আপডেট: ৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:০১
ঢাকা: রাজধানী ঢাকার লালমাটিয়ায় অবস্থিত ‘সুরের ধারা’র অনুকূলে বন্দোবস্ত দেওয়া খাস জমির অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। সিএস ও আরএস রেকর্ডে জায়গাটি `খাল’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত।
সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র সুরের ধারার প্রতিষ্ঠাতা প্রখ্যাত রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর মোহাম্মাদপুর থানার অধীন এই জমিতে কেন্দ্রটির স্থায়ী ক্যাম্পাস উদ্বোধন করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই জমির বন্দোবস্ত বাতিলের তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের খাস জমি-১ অধিশাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। উপসচিব মো. আমিনুর রহমানের সই করা এক চিঠিতে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে ঢাকার জেলা প্রশাসককে।
জমিটি ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার রামচন্দ্রপুর মৌজায় অবস্থিত। এই জমির দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্তে সুরের ধারার চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার পক্ষে অনুমোদিত হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, বাতিল হওয়া জমিটি খাস খতিয়ানভুক্ত। এর দাগ নম্বর সিএস ও এসএ-৬৯২, আরএস-১৮৯৫, সিটি-১১৬৬৭ এবং ১১৪১২। মোট জমির পরিমাণ শূন্য দশমিক পাঁচ এক দুই শূন্য একর। ওই জমির সিএস ও আরএস রেকর্ডে ‘খাল’ হিসেবে শ্রেণিকরণ থাকার কারণে এই বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়েছে।
১৯৯২ সালে মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ার একটি ভাড়া বাসায় যাত্রা শুরু করে সুরের ধারা। ১৯৯৬ সালে মোহাম্মদপুর-গাবতলী বেড়িবাঁধের পশ্চিম দিকে বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাক সমিতি সরিয়ে দিয়ে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আন্তঃজেলা ট্রাক সমিতিও রামচন্দ্রপুর ও কাটাসুর মৌজার সরকারি খাস জমি দখল করে কার্যালয় গড়ে তুলেছিল। তাদের উৎখাত করে স্থায়ী ক্যাম্পাস করার চেষ্টা করে সুরের ধারা। তবে সে চেষ্টা তখন সফল হয়নি। পরে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সুরের ধারা জমিটি দখলে নিতে সক্ষম হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে পুলিশের সহায়তায় সেখানে টিনশেড ভবন নির্মাণ করা হয়। পরে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর সেখানে স্থায়ী ক্যাম্পাস উদ্বোধন করা হয়।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর