দেশেই ইউরোপীয় দেশগুলোর দূতাবাস স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন
১৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৪
ঢাকা: দেশেই ইউরোপের বিভিন্ন দূতাবাস বা কনস্যুলেট স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ইউরোপগামী ভিসা প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘ইউরোপগামী ভিসা প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে ইউরোপগামী ভিসা প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মেহেদী হাসান আশিক বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অভিবাসন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যাত্রা করা নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট এবং অ্যাম্বাসি কার্যক্রম না থাকায় নাগরিকদের অন্য দেশে যেতে হচ্ছে। এতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সময় অপচয় হচ্ছে। রেমিট্যান্স হারাচ্ছে বাংলাদেশ। সেজন্য আমরা বাংলাদেশে ইউরোপীয় দেশগুলোর অ্যাম্বাসি বা কনস্যুলেট স্থাপনের দাবি জানাই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য কোনো রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম থেকে আসা নয়। বরং আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখে আমরা ইউরোপের সব দেশে আমাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতে পারি। বাংলাদেশে যদি ইউরোপীয় কনস্যুলেট এবং অ্যাম্বাসি কার্যক্রম চালু করা হয়, তাহলে আমাদের নাগরিকদের ইউরোপে প্রবেশের প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে এবং অর্থ সাশ্রয় হবে।
মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি নাফিসা ইসলাম খান বলেন, দিল্লিতে অবস্থিত ইউরোপীয় অ্যাম্বাসি ও কনস্যুলেটগুলোতে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের নাগরিকদের সময়মতো অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সঠিক নথিপত্র পাওয়ার পরও ভ্রমণের জন্য ভারত আমাদের ভিসা প্রত্যাখ্যান করছে। যার জন্য ভিসা আবেদন, কনস্যুলার সেবা পেতে সময় লাগছে। আমরা মনে করি, ইউরোপীয় সব কনস্যুলেট ও অ্যাম্বাসি কার্যক্রম যেন বাংলাদেশেই সম্পন্ন করা যায় তা নিশ্চিত করা জরুরি। এর ফলে ইউরোপের দেশগুলোতে বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি যেতে পারবে এবং বেশি বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসবে।
মানববন্ধনে সংকট সমাধানে চার দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে ঐক্য পরিষদ। সেগুলো হলো-
সময় ও খরচ সাশ্রয়: বাংলাদেশে যদি সকল কার্যক্রম চালু থাকে, তবে দিল্লি যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। এতে করে সময় ও খরচ উভয়ই বাঁচবে, জনগণ উপকৃত হবে ইউরোপ গমনে খরচ কমবে।
কার্যক্রমের গতি বৃদ্ধি: স্থানীয় সেবা গ্রহণের মাধ্যমে আবেদনের প্রক্রিয়া আরও দ্রুত ও সহজ হবে, ফলে নাগরিকরা দ্রুত ভিসা ও অন্যান্য সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
সেবা প্রদানে গুণগত মান বৃদ্ধি: বাংলাদেশে সরাসরি অ্যাম্বাসি/কনস্যুলেট কার্যক্রম চালু থাকলে, আমাদের নাগরিকরা সঠিক ও নির্ভুল তথ্য পেতে সক্ষম হবেন এবং কোনো দ্বিধা ছাড়াই সহজে পরামর্শ নিতে পারবেন।
স্থানীয় কর্মসংস্থান ও যোগাযোগ উন্নয়ন: এ পদক্ষেপে স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ থাকবে এবং বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।
সারাবাংলা/এসবি/এমপি