বাংলাদেশ দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি দিল্লিতে
৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:২২ | আপডেট: ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:৫৯
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের কথিত অভিযোগের প্রতিবাদে আগামী মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ভারতের রাজধানী দিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছে সিভিল সোসাইটি অব দিল্লি নামে একটি সংগঠন। এ কর্মসূচিতে আরও ২০০ সংগঠন অংশ নিবে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) আরএসএসের মঞ্চ থেকে দিল্লির নাগরিক সমাজ এই প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে।
আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, দিল্লির সব বাজার কমিটি, রেসিডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, চিকিৎসক, আইনজীবী, ছাত্র সংগঠন ছাড়াও রাজধানীর দুর্গাপূজা কমিটি, রামলীলা, ছট কমিটি ও গুরুদ্বার কমিটি ওই প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিতে চলেছে।
একদিকে, আরএসএস যখন দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতবাসের প্রতিবাদ মিছিলের পরিকল্পনা করেছে, তখন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করছে দু’দিন আগে আগরতলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলার ঘটনায় মুখ পুড়েছে সরকারের। বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদি সরকার যখন দূতাবাসে হামলার ঘটনা নিয়ে বিড়ম্বনায়, তখন আরএসএসের নেতৃত্বে দিল্লিতে ওই কর্মসূচি নিয়ে সরকারে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের বাংলাদেশ সফর উল্লেখ করে কূটনীতিকরা মনে করছেন, বিক্রমের সফরের অন্যতম লক্ষ্য হল বাংলাদেশে হিন্দুসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এমন পরিস্থিতিতে ভারত কখনই চায় না এমন কিছু হোক যাতে, বাংলাদেশে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও রাজনীতিকদের মতে, সামনেই দিল্লিতে ভোট। তার পরে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন। বাংলাদেশের ঘটনাকে সামনে রেখে দু’রাজ্যেই হিন্দু ভোটকে একজোট করার লক্ষ্য নিয়েছেন গেরুয়া নেতৃত্ব।
আজ দিল্লির নাগরিক সমাজের পক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রতিবেশি দেশে পরিস্থিতি নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত বীণা সিক্রি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে যে অন্তর্বর্তী সরকার রয়েছে, তাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আইনি ক্ষমতা নেই। কারণ মুহাম্মদ ইউনূস সরকার ভোটে জিতে আসেননি।’
আলোচনায় অংশ নেওয়া সাবেক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা প্রধান রাজীব জৈন জানান, ‘বাংলাদেশের অস্থিরতা ভারতের জন্য ভবিষ্যতে নিরাপত্তাজনিত বিপদ তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে যেভাবে মৌলবাদীরা বাংলাদেশের দখলে নিয়ে ফেলেছে, তাতে আগামী দিনে পাকিস্তানের মদতে বাংলাদেশের মাধ্যমে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি সম্ভাবনা রয়েছে।’
সারাবাংলা/এইচআই