বিসিএসে চিকিৎসকদের বয়স ৩৪ ও পোস্টগ্র্যাজুশেনে ভাতা বৃদ্ধির দাবি
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৪
ঢাকা: বিসিএসে চিকিৎসকদের বয়সসীমা পূর্বের মত দুই বছর বৃদ্ধি করে ৩৪ বছরে উন্নীত এবং পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের ভাতা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি করার দাবি জনিয়েছেন চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের সংগঠনগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগ ইউনাইটেড মেডিকেল অর্গানাইজেশনস্ অব বাংলাদেশের (ইউমব) নেতারা।
মঙ্গলবারের (১৭ ডিসেম্বর) মধ্যে এ দাবি পূরণের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সরাসরি হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা। অন্যথায়, কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের সংগঠনগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগ ইউনাইটেড মেডিকেল অর্গানাইজেশন্স অব বাংলাদেশের (ইউমব) সমাবেশে এই দাবি করা হয়।
সমাবেশে ইউমব’র মুখপাত্র ডা. মোবারক হোসেন বলেন, চিকিৎসক সমাজ ঐক্যবদ্ধ আছে। আগামী মঙ্গলবার মধ্যে (১৭ ডিসেম্বর) তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সমাবেশ থেকে ইউমব নেতারা ঘোষণা দেন-
১. আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে বিসিএস পরীক্ষায় চিকিৎসকদের বয়সসীমা দুই বছর বৃদ্ধিপূর্বক ৩৪ বছর করে নতুন প্রজ্ঞাপন দিতে হবে।
২. একইভাবে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনে প্রশিক্ষণরত প্রাইভেট চিকিৎসকদের ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
অন্যথায়, চিকিৎসক মহল কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলে জানান তারা।
প্রসঙ্গত, ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদনের প্রজ্ঞাপনে আবেদনকারীর বয়সসীমা ২১ থেকে ৩২ বছর উল্লেখ করা হয়, যা সকল আবেদনকারীর জন্য প্রযোজ্য। উল্লেখ্য যে, অন্যান্য বিসিএস আবেদনকারীর স্নাতক শেষে করতে যেখানে ন্যূনতম ৪ বছর প্রয়োজন হয়, সেখানে চিকিৎসকদের এমবিবিএস/বিডিএস স্নাতক ও ইন্টার্নশিপ শেষ করতে ন্যূনতম সাড়ে ৬ বছর লাগে। তাই পূর্ববর্তী সকল সাধারণ বিসিএস পরীক্ষায় যেখানে ৩০ বছর ছিল, সেখানে চিকিৎসকদের বয়সসীমা ৩২ বছর ছিল।
সর্বশেষে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে সবার ক্ষেত্রে বয়সসীমা দুই বছর বৃদ্ধি করে ৩২ বছর করা হলেও চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে কোন বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি। ফলে চিকিৎসকরা এই ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে সচেতন চিকিৎসকরা মনে করেন।
অপর দাবি সম্পর্কে ইউমবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্সগুলোতে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় যারা সরকারি চাকুরিরত চিকিৎসক আছেন, তারা কোর্স চলাকালিন সরকারি গ্রেড অনুযায়ী বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন। তবে যারা বেসরকারি চিকিৎসক তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে পারিতোষিক দেয়া হয়। বর্তমানে তাদের মাসিক পারিতোষিক ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হচ্ছে। যা একজন প্রশিক্ষণরত চিকিৎসকের জন্য খুবই অপ্রতুল। প্রশিক্ষণরত চিকিৎসকমহলের এই পারিতোষিক বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবিকে বিবেচনায় নিয়ে বিসিপিএস, বিএসএমএমইউ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে পারিতোষিক বৃদ্ধি করে তা বিসিএস নবম গ্রেড তথা মেডিকেল অফিসার সমমানের বেতন কাঠামো করার উদ্যোগ নিলেও অর্থ-মন্ত্রণালয় পর্যন্ত গিয়ে বিষয়টি থমকে আছে।
সারাবাংলা/এসবি/এসডব্লিউ