জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ৮ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৯ | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:১৩
ঢাকা: জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দুই মাসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
তদন্তের জন্য সময় চেয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ, গাজী এম এইচ তামিম।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, আজকে ৮জন আসামিকে হাজির করা হয়েছিল। তারা সবাই সরকারি কর্মকর্তা। আমরা তিনজন কর্মকর্তা- পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলাম, ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেছিলাম। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আগামী ২৬, ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি এ তিনদিন আলাদা আলাদাভাবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানসহ ৮ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। অন্য ৫জন হলেন- ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, মিরপুর ডিএমপির সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলাম, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
গত ২০ নভেম্বর জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালকসহ ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তাদের ট্রাইব্যুনালের মামলায় কারাগারে রাখতে নির্দেশ দেন আদালত। সেদিন এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন (১৯ ডিসেম্বর) ধার্য করা হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ/আরএস