জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ন্যায়বিচার দেখতে চান প্রধান বিচারপতি
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪৫ | আপডেট: ৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:১০
ঢাকা: বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, এই জাতি অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারের দিকে তাকিয়ে আছে। সাধারণ নাগরিকের মতো আমিও সেই আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আছি। আমি জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ন্যায়বিচার দেখতে চাই।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সংস্কার হওয়া ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
উদ্বোধনের সময় তিনি বলেন, যে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংস্কারকৃত মূল ভবন ও এজলাস কক্ষ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নতুন যুগের সূচনা হলো।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই ভূ-খণ্ডের বিচার বিভাগীয় ইতিহাসে ঐতিহাসিক এই স্থাপনাটি ‘ঢাকা হাইকোর্ট’ বা ‘পুরাতন হাইকোর্ট ভবন’ হিসেবে যে মহান ঐতিহ্য ধারণ করে আছে, ২০২৪ এর জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনয়ন, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ও ন্যায়বিচারের শ্বাশ্বত নীতিসমূহের অনুসরণের মাধ্যমে তা নতুন মাত্রায় পূর্ণতা পাবে।
ট্রাইব্যুনালের প্রতি প্রত্যাশার কথা জানিয়ে তিনি জানান, একজন সাধারণ নাগরিক তার হৃদয় উৎসারিত অকৃত্রিম চেতনাবোধ থেকে সমগ্র জাতির নৈতিক সমর্থনপুষ্ট একটি গণজোয়ার রুখতে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রতি যে প্রত্যাশা রাখেন। প্রধান বিচারপতিও ঠিক অনুরূপ প্রত্যাশা রাখেন।
এর আগে, তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন ও এজলাস কক্ষ ও প্রসিকিউশন অফিস কক্ষ পরিদর্শন করেন।
এদিন আন্তর্জাতিকভাবে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিপেটার তাজুল ইসলাম বলেন বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে মাননীয় প্রধান বিচারপতি সংস্কার হওয়া নতুন ভবনটি উদ্বোধন করেছেন।
কবে নাগাদ সংস্কার হওয়া ভবনে বিচার কাজ শুরু হবে এর জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, আজকে থেকেই এই ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়ে গেল। এখন থেকে মামলা ডেট যেদিন পড়বে নতুন ভবনে বিচার কাজ হবে।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ