বাড়ছে প্রকল্পের মেয়াদ
‘বন্ধন’ সফটওয়্যার বুঝে না পাওয়ায় অনলাইনে বিবাহ-তালাক নিবন্ধন বাধাগ্রস্ত
২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:০২ | আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:১১
ঢাকা: ‘বন্ধন’ সফটওয়্যার বুঝে না পাওয়ায় অনলাইনে বিবাহ ও তালাক কার্যক্রম সম্পাদন করতে পারছে না আইন ও বিচার বিভাগ। এ অবস্থায় চলমান ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স: বিবাহ ও তালাক নিবন্ধনে আইসিটি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’ এর ব্যয় ও মেয়াদ বাড়াতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রকল্পটির সংশোধন ছাড়াই মেয়াদ ১ বছর বাড়ানোর জন্য মতামত চাওয়া হয়েছে বাস্তববায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) কাছে। গত ১৬ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আইএমইডিতে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, এ প্রকল্পের আওতায় বিবাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রেশনের সফটওয়্যার উন্নয়নের সংস্থান রয়েছে। এ এজন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ উন্নয়ন করা সফটওয়্যার ‘বন্ধন’ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিবাহ ও তালাক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘বন্ধন’ সফটওয়্যারটি তৈরি ও সফটওয়্যারটির ধারাবাহিক উন্নয়ন, সার্ভিস ও মেইনটেনেন্স এর জন্য আইন ও বিচার বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মধ্যে গত ৯ জুন সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করা হয়েছে। সমঝোতা স্মারকের জন্য আইন ও বিচার বিভাগ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের তৈরি করা বিবাহ ও তালাক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘বন্ধন’ ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে। গত ৩০ জুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ বিবাহ ও তালাক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘বন্ধন’ সফটওয়্যারটি উপস্থাপন করে।
বিদ্যমান নিবন্ধন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যতা পরীক্ষা করে দেখার পর এতে নতুন ফিচার যুক্ত করা প্রয়োজন তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী সফটওয়্যারটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাধ্যমে কাস্টমাইজ করা হচ্ছে। কিন্তু এখনো কাস্টমাইজ করা সফটওয়্যারটি আইন ও বিচার বিভাগে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে প্রকল্পের আওতায় বিবাহ নিবন্ধকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। তাই ১০টি উপজেলায় অনলাইনে বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করতে আরো কিছু সময় প্রয়োজন।
এই প্রকল্পটি চলতি বছরের ৩০ জুনে সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত আছে। প্রকল্প বাস্তবায়ণকালে বিভিন্ন উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় এই প্রকল্পের কোন ধরনের সংশোধন ছাড়া মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর বিষয়ে মতামত দেওয়ার অনুরোধ জানানো হলো।
সারাবাংলা/জেজে/আরএস