আরজি করে ধর্ষণ-খুন, সঞ্জয় রায়ের যাবজ্জীবন
২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:২৫ | আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৫৭
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। এ ছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) এই সাজা ঘোষণা করেন শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬ এবং ১০৩ (১)— এই তিনটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সঞ্জয় রায়। সিবিআই মৃত্যুদণ্ডের জন্য আবেদন করলেও শেষমেশ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক।
সঞ্জয় এদিনও আদালতে দাবি করেন, তিনি দোষ করেনি। তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
এর আগে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) পাঁচ মাস নয়দিন পর এ মামলার রায় ঘোষণা করেছিল আদালত। একমাত্র অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
আদালত জানিয়েছিল, আরজি কর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
সেদিন আদালতে সঞ্জয় বলেন, ‘আমি কিছু করিনি। আমার কথা একবার শুনুন।’ এরপর বিচারক রায় ঘোষণা করেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিহত চিকিৎসক টানা ৩৬ ঘণ্টার ডিউটিতে ছিলেন, ওইদিন রাতে সহকর্মীদের সঙ্গে খাবার খেয়ে তিনি পালমোনোলজি বিভাগের সেমিনার হলে বিশ্রাম নিতে যান। পরদিন সকালে তার জুনিয়র সহকর্মীরা সেই হলের ভেতরেই তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
নিহত চিকিৎসকের পরিবার জানায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ তাদের প্রথমে জানিয়েছিল তাদের মেয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছে। পরে জানা যায় তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে উত্তাল হয়ে উঠেছিল পুরো ভারত। পরে তীব্র ক্ষোভের মুখে পুলিশ এই ঘটনায় খুন ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
সেদিন ভোরে সঞ্জয় রায় নামের সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কালকাতা পুলিশ। এ ছাড়া এ ঘটনার পর হাসপাতালটির দুর্নীতির অভিযোগে কলেজের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও সংশ্লিষ্ট টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও গ্রেফতার করে সিবিআই।
সারাবাংলা/এইচআই