গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন
১৯ মার্চ ২০২৫ ১৬:২৯ | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫ ১৬:৩৪
ইবি: ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন হয়।
এ সময় মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনে এই গণহত্যা বন্ধে বিশ্বের মুসলিম নেতৃবৃন্দদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। এ ছাড়া জাতিসংঘ ও ইসলামী সহযোগী সংস্থাকে (ওআইসি) প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।
ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আজকে আমরা মুসলমান হিসেবে অনেক বেশি লজ্জিত। ফিলিস্তিনে আমাদের ভাই, বোন, শিশুদের নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে। অথচ আমরা মুসলমান হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারছি না। যে মুসলমানদের এক দেহের মতো থাকার কথা, আজ তারা বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত। মুসলমানদের এমন অবস্থা হয়েছে, গাজায় হাজার হাজার মানুষ মারা যাওয়ার পরও তাদের বিবেকের কড়া নড়ছে না।
তারা আরও বলেন, মুসলমানদের আর বিভক্ত থাকার দিন নেই। আমরা যত বেশি বিভক্ত হবো আমাদের বিরোধী শক্তি তত বেশি শক্তিশালী হবে। আমাদের ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাবে। আর পুরো মুসলিম জাতি যদি এক হয়ে হুংকার দেওয়া যায়, তাহলে শুধু নেতানিয়াহু নয় পুরো ইসলামবিরোধী শক্তির মসনদ ভেঙে যাবে। বিশ্বের মুসলিম নেতৃবৃন্দের কাছে আহ্বান জানাই, আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফিলিস্তিনের মানুষের পাশে দাঁড়ান এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা পালন করুন।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমরা বলি বিগত ১৬ বছর আমরা ফ্যাসিজমের মধ্যে ছিলাম। ৫ আগস্ট মুক্ত হয়েছি। কিন্তু যেখানে গাজার মুসলমানেরা ইফতার করতে পারে না, সেহরি করতে পারে না, আজানের ধ্বনি শুনতে পারে না। সেখানে যদি আমরা নিজেদের স্বাধীন ভাবি তাহলে সেটা আমাদের মুসলমান পরিচয় এর সঙ্গে গাদ্দারি হবে। সুতরাং পুরো বিশ্ব বিবেককে এবং যারা নিজেদেরকে মানবতার পতাকাবাহী হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন তাদেরকে আহ্বান জানাবো, আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে গাজার মানুষদের পাশে দাঁড়ান।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং ওআইসিকে উদ্দেশ্য করে শিক্ষার্থীরা বলেন, যারা মানবতার কথা বলে তারাই আজ বর্বরতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ইজরায়েলি বাহিনীর বর্বর আক্রমণে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন। অথচ জাতিসংঘসহ মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। তারা মানবাধিকারের কথা বলে শুধু মুখে ফেনা তোলেন, অথচ কার্যক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা নেই। আর ওআইসি শব্দটা মুখে নিতেও আজ আমাদের লজ্জা হয়। ওআইসি গঠিত হয়েছিল মুসলামনদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। কিন্তু আজ ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ওপর হামলার পরও তারা নিশ্চুপ হয়ে বসে আছে। জাতিসংঘ, ওআইসিসহ এসব তথাকথিত মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে বলতে চাই, আপনারা যদি আপনাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ঠিক রাখতে না পারেন তাহলে কার্যক্রম বাদ দেন।
সারাবাংলা/এইচআই